

মহারাষ্ট্রে বিধায়কদের শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করছে মহা বিকাশ আঘাদির বিধায়করা। আঘাদি জোট ভুক্ত শিবসেনা (ইউবিটি), কংগ্রেস এবং এনসিপি (এসপি) এই অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা আদিত্য ঠাকরে।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আদিত্য ঠাকরে বলেন, আমাদের মহা বিকাশ আঘাদির বিধায়করা আজ শপথ গ্রহণ করবেন না। আমাদের ইভিএম নিয়ে একাধিক প্রশ্ন আছে। তাই প্রতিবাদে আজ আমরা শপথ গ্রহণ করছি না। এখানে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিন আদিত্য ঠাকরে বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, পদ্ধতি মেনে সরকার গঠনের দাবি জানানোর আগেই বিজেপি শপথগ্রহণের দিন ঘোষণা করে দিয়েছে। একে নৈরাজ্য বলে। এখানে শুধুমাত্র বিরোধীদের ওপর নিয়ম প্রয়োগ করা হয়।
এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বতন ট্যুইটার) এক বার্তায় আদিত্য ঠাকরে বলেন, "আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য লড়াই করব। আমরা নির্বাচিতরা সত্য জানতে চাই, ইভিএম নিয়ে জনগণের সন্দেহ দূর করতে চাই।" ওই বার্তাতেই তিনি আরও বলেন, এই জনাদেশ নির্বাচন কমিশন এবং ইভিএমের দেওয়া জনাদেশ। এই ফলাফলে মহারাষ্ট্রের মানুষের দেওয়া মতামত প্রতিফলিত হয়নি।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস বিধায়ক বিজয় ওয়াদেত্তিওয়ার বলেন, এই নির্বাচন ফলাফল থেকে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। পুরো প্রক্রিয়া নিয়েই সন্দেহ দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষ অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ। এই ফলাফলে অবশ্যই কিছু ভুল আছে বলে মনে হচ্ছে।
এর আগে মহারাষ্ট্রের বিরোধী মহা বিকাশ আঘাদির বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানও বয়কট করেছিলেন। যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
গত ২৩ নভেম্বর মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হলেও মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল মহাযুতি শিবিরে। ফল প্রকাশের প্রায় দু'সপ্তাহ পরে বিজেপির পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেবেন্দ্র ফড়নবীশের নাম ঘোষণা করা হয়।
গত ৫ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ের আজাদ ময়দানে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। ওইদিনই রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শিবসেনা নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ধে এবং এনসিপি অজিত গোষ্ঠীর নেতা অজিত পাওয়ার। আজ শনিবার থেকে রাজ্যের সদ্য নির্বাচিত বিধায়কদের শপথ গ্রহণ শুরু হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন