
মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে ‘অস্বাভাবিক’ ফলাফল হয়েছে, যেখানে মহাযুতি বিপুলভাবে জয়ী হয়েছে, যদিও ফল বেরোনোর পর আট দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত তারা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করে উঠতে পারেনি। শনিবার একথা জানিয়েছেন শিবসেনা উদ্ধব গোষ্ঠীর নেতা সঞ্জয় রাউথ।
রাউথের মতে, মহাযুতির শরিকদের মধ্যে প্রবল মতানৈক্যের কারণেই এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা ঠিক করা যায়নি। শুক্রবার জরুরি বৈঠক ডাকা হলেও সেই বৈঠকে যোগ না দিয়ে কার্যনির্বাহী মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ধে সাতারায় নিজের দেশের বাড়িতে চলে গেছেন।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাউথ বলেন, ভোটের ফল বেরোনোর পর আট দিন পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনও মহারাষ্ট্র কোনও মুখ্যমন্ত্রী পায়নি। কার্যনির্বাহী মুখ্যমন্ত্রী নিজের গ্রামে চলে গেছেন। কেন এগুলো হচ্ছে? কারণ এই ফলাফল অস্বাভাবিক এবং এই ফলাফলে মানুষের মনের ইচ্ছা প্রতিফলিত হয়নি। রাজ্য জুড়ে এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে।
রাউথের অভিযোগ, ভোটের হারে হঠাৎ করে বিশাল পরিবর্তনের কারণেই হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রে শাসকের জয় হয়েছে।
তিনি স্পষ্ট অভিযোগ করে বলেন, বিকেল ৫ টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৬ লক্ষ। কীভাবে এই ৭৬ লক্ষ ভোট এল? একইভাবে হরিয়ানাতেও ১৪ লক্ষ ভোট বেড়েছে। এই ভোট বৃদ্ধিই মহাযুতির জয়ের আসল কারণ।
তিনি বলেন, মহা বিকাশ আঘাদি ভোটের ফলাফল খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করছে। এই ফলাফলের পেছনে কী লুকিয়ে আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কংগ্রেস, এনসিপি শারদ পাওয়ার গোষ্ঠীর শারদ পাওয়ার এবং শিবসেনা (ইউবিটি) প্রধান উদ্ধব ঠাকরে লাগাতার নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালাচ্ছেন। এমভিএ সম্পূর্ণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরিস্থিতির মূল্যায়ন করছে। আমাদের মধ্যে কোনও মতদ্বৈধতা নেই।
এদিন সাংবাদিকদের সামনে রাউথ বলেন, মহা বিকাশ আঘাদির কোনও শরিক এককভাবে নির্বাচনে লড়াই করেনি। লোকসভার ফলাফল এবং বিধানসভার ফলাফলে আকাশ পাতাল পার্থক্য। সঠিক সময়ে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নেব।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে ২৮৮ আসনের মধ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন মহাযুতি জোট পেয়েছে ২৩৪ আসন এবং বিরোধী মহা বিকাশ আঘাদি পেয়েছে ৫০ আসন। যার মধ্যে বিজেপি এককভাবে পেয়েছে ১৩২ আসন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন