বাংলা সাহিত্য জগতে আবারও এক নক্ষত্রপতন। প্রয়াত প্রফুল্ল রায় (Prafulla Roy)। ১৯৫৭ সালে ‘পূর্ব পার্বতী’ উপন্যাস দিয়ে যে যাত্রার শুরু হয়েছিল থেমে গেল সেই যাত্রা। দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিং হোমে বয়সজনিত অসুস্থতায় দীর্ঘদিন ভর্তি ছিলেন এই নবতিপর সাহিত্যিক। বৃহস্পতিবার সেখানেই ত্যাগ করলেন শেষ নিঃশ্বাস। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলার সাহিত্যজগত।
১৯৩৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর অধুনা বাংলাদেশের ঢাকার বিক্রমপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। দেশভাগের পর কিশোর বয়সেই জন্মভিটা ছেড়ে পাকাপাকি স্বাধীন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। খুব অল্প বয়সেই ‘পূর্ব পার্বতী’ দিয়ে তাঁর সাহিত্যযাত্রার শুরু। এরপর ধাপে ধাপে একের পর এক কালজয়ী সৃষ্টি তাঁকে দিয়েছে বঙ্কিম পুরস্কার, সাহিত্য আকাদেমি পুরষ্কার। জয় করেছেন অজস্র পাঠকের মন। জায়গা করে নিয়েছেন তাঁদের মননে।
খুব অল্প বয়সেই জন্মভিটা ছাড়তে বাধ্য হলেও তাঁকে চিরকালই যন্ত্রণা দিয়েছে দেশভাগ। যা ফুটে উঠেছে তাঁর কেয়াপাতার নৌকা থেকে শুরু করে অন্যান্য একাধিক উপন্যাসে। যার মধ্যে আছে শতধারায় বয়ে যায় অথবা উত্তাল সময়ের ইতিকথা।
এছাড়াও আকাশের নিচে মানুষ (বঙ্কিম পুরস্কার – ১৯৮৫), ক্রান্তিকাল (সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার ২০০৩), নোনা জল মিঠে মাটি প্রভৃতি তাঁর কালজয়ী সৃষ্টি। তাঁর একাধিক ছোটোগল্প, উপন্যাস নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমা, টেলিফিল্ম। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, বাঘবন্দী খেলা, এখানে পিঞ্জর, মন্দ মেয়ের উপাখ্যান, আদমি আউর আওরত, চরাচর, মোহনার দিকে, একান্ত আপন প্রভৃতি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন