

নরওয়ের হলবার্গ পুরস্কার পাচ্ছেন অধ্যাপিকা গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। আর্টস ও হিউম্যানিটিজের 'নোবেল' হিসেবেও পরিচিত এই পুরস্কার। এই সম্মান জয়ের জন্য তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
গত ১৩ মার্চ পুরস্কার প্রাপক হিসাবে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যানিটিজ বা মানববিদ্যার অধ্যাপিকা গায়ত্রীর নাম ঘোষণা করা হয়। আগামী ৫ জুন নরওয়ের বেরজেন বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে অধ্যাপিকার হাতে এই সম্মান তুলে দেবেন সে দেশের যুবরাজ হাকোন। এই পুরস্কারের আর্থিক মূল্য ৫,৪০,০০০ মার্কিন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'আরও একটি শীর্ষ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের জন্য অধ্যাপক গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাককে অভিনন্দন জানাই আমি। এই বছর তাঁকে নরওয়ের হলবার্গ পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে, যা মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞানের একটি শীর্ষ পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত হয়। এই সর্বোচ্চ সম্মান অর্জনের মাধ্যমে তিনি আমাদের গর্বিত করেছেন'।
তিনি আরও লেখেন, "অধ্যাপক স্পিভাক সাহিত্য তত্ত্ব এবং দর্শনে তাঁর অবদানের জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত। তবে পশ্চিমবঙ্গের কিছু প্রত্যন্ত গ্রামে দরিদ্র-বান্ধব সেবার কাজে তাঁর নিয়োজিত থাকা আমাকে মুগ্ধ করেছে। বাংলা সাহিত্যের সর্বকালের ধ্রুপদী রচনাগুলিকে ইংরেজিতে অনুবাদ করার জন্য তাঁর প্রচেষ্টা এমন একটি প্রকল্প যা আমাদের অনুপ্রাণিত করে"।
এক বিবৃতিতে হলবার্গ পুরস্কার কমিটি জানিয়েছে, পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে তুলনামূলক সাহিত্য, নিম্নবর্গের ইতিহাস, নারীবাদ, সামাজিক ও রাজনৈতিক তত্ত্ব ও দর্শন নিয়ে গবেষণা এবং অধ্যাপনার স্বীকৃতি হিসাবে হলবার্গ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাককে।
হলবার্গ কমিটির চেয়ারপারসন হাইক ক্রেইগার বলেন, "একজন বুদ্ধিজীবী ও সমাজকর্মী হিসেবে স্পিভাক ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন দেশের প্রান্তিক গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মধ্যে নিরক্ষরতার বিরুদ্ধে লড়াই করেন"।
উল্লেখ্য, নরওয়ের সরকার কর্তৃক অর্থায়নে এবং নরওয়ের শিক্ষা ও গবেষণা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বার্গেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত হলবার্গ পুরস্কার প্রতি বছর মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন বা ধর্মতত্ত্বের ক্ষেত্রে একজন গবেষককে দেওয়া হয়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন