

বই বিক্রির নিরিখে রেকর্ড গড়লো ৪৮ তম কলকাতা বইমেলা। গিল্ডের তরফে জানানো হয়েছে, ১২ দিন কলকাতা বইমেলায় বই বিক্রি হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকার। এছাড়া বইমেলার শেষলগ্নে উপছে পড়েছে মানুষের ভিড়। সব মিলিয়ে এবারের বইমেলায় ২৭ লক্ষ মানুষ এসেছেন বলে জানিয়েছে গিল্ড।
২০২৪ সালে বইমেলা চলেছিল ১৪ দিন ধরে। সেবার বইমেলায় বই বিক্রি হয়েছিল ২৩ কোটি টাকার। কিন্তু ২০২৫–এর বইমেলার দিন সংখ্যা কম হলেও বই বিক্রিতে রেকর্ড তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড।
অন্যান্য দিনের তুলনায় শেষ দু’দিনে উপছে পড়া ভিড় হয়েছে বইমেলায়। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার পর্যন্ত বইমেলায় প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষ এসেছিলেন। আর শেষ দু’দিনে (শনি ও রবিবার) –এ প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ এসেছেন বইমেলায়। এই বিষয়ে গিল্ডের সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে বলেন, ‘‘গত বছর আমরা ১৪ দিন বইমেলা করার সুযোগ পেয়েছিলাম। এবছর সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১২ দিনে। যদিও তাতেও বহু মানুষ এসেছেন। ফিশফ্রাইয়ের টানে বইমেলাতে এলেও বই কিনেই বাড়ি ফিরেছেন সকলে”।
এই প্রথম বই মেলার থিম কান্ট্রি ছিল জার্মানি। রবিবার ৪৮ তম বইমেলার সমাপ্তিতে হাজির ছিলেন গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বিধানগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। রাজ্যের মন্ত্রীদের কথায়, বইমেলা চিরকাল হৃদয়ে থাকবে। আগামী বছরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করব।
অন্যদিকে, ৯ ফেব্রুয়ারি ছিল আরজি করের নির্যাতিতার জন্মদিন। বইমেলার শেষ দিনে পালিত হল নির্যাতিতার জন্মদিন। মেলা প্রাঙ্গণে এক শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিল লিটল ম্যাগাজিন। যেখানে নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের দাবিতে স্লোগান তোলা হয়। এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিল বিভিন্ন অ-রাজনৈতিক সংগঠন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন