ব্যারাকপুরে তৃণমুলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব থামছেই না যেন। এবার লোকসভা ভোটে বিদায়ী সাংসদ অর্জুন সিংকে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে টিকিট না দেওয়ার আর্জি জানিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে চিঠি দিচ্ছেন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। জানা গেছে, অর্জুনকে যে এলাকাবাসী সাংসদ হিসাবে চাইছেন না, তার প্রমাণস্বরূপ ইতিমধ্যেই বেশ কিছু মানুষের সই সংগ্রহ করে ফেলেছেন সোমনাথ। ভোটের আগে ফের প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অস্বস্তি বাড়াচ্ছে শাসক দলের।
তবে শুধু সোমনাথ নয়। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের আরও এক তৃণমূল বিধায়ক অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারী অর্জুন সিংকে কটাক্ষ করে বলেন, “অর্জুন সিংহ আগে ঠিক করুন, কাদের প্রার্থী হবেন? বিজেপির না কি তৃণমূলের?” একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে জেতার পর বিজেপি সাংসদ সিংহ হয়ে সাধারণ মানুষ এবং তৃণমূল কর্মীদের উপর অত্যাচার চালিয়েছিলেন। সেই কথা কেউ ভোলেননি। এখন ইঁদুর হয়ে তৃণমূলে ঢুকেছেন।”
তবে আমডাঙ্গায় আবার এর উল্টো ছবি দেখা গেছে। সেখানে অর্জুন সিংয়ের সমর্থনে ইতিমধ্যেই পোস্টার পড়েছে। পোস্টারে লেখা হয়েছে, “অর্জুন সিংহকেই প্রার্থী চাই।” এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক রফিকুর রহমান জানিয়েছেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যাঁকে প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করবেন, তিনি তাঁর সঙ্গেই থাকবেন। পোস্টার প্রসঙ্গে রফিকুর বলেন, “মানুষ আবেগতাড়িত হয়ে এই ধরনের পোস্টার দিয়েছেন।” তবে এব্যাপারে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি অর্জুন সিং।
উল্লেখ্য, ২০১৯ –এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়েন অর্জুন সিং। ভোটে জিতে সাংসদও হন তিনি। অর্জুন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন সোমনাথ শ্যাম। তবে পরবর্তীতে ২০২২ সালে ফের তৃণমূলে ঘর ওয়াবসী করেন অর্জুন। আর তারপর থেকেই অর্জুন-শ্যাম লড়াই চলমান। শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সমঝোতার একাধিক চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন