
বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ বিজ্ঞানীর তালিকায় পুনরায় স্থান পেলেন পতঞ্জলির সহ-প্রতিষ্ঠাতা আচার্য বালকৃষ্ণ (Acharya Balkrishna)। আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা Elsevier-এর যৌথভাবে প্রকাশিত গবেষণা তালিকায় জায়গা পেয়েছেন তিনি। এই দাবি করেছে পতঞ্জলি রিসার্চ ফাউন্ডেশন।
পতঞ্জলির দাবি, আচার্য বালকৃষ্ণ-র এই প্রাপ্তি শুধু পতঞ্জলির জন্যই নয়, বরং ভারতের প্রাচীন আয়ুর্বেদ জ্ঞান, আধুনিক গবেষণা এবং গোটা দেশের জন্য গর্বের বিষয়।
পতঞ্জলির আর এক প্রতিষ্ঠাতা যোগগুরু রামদেব জানান, “আচার্য বালকৃষ্ণ শুধু আয়ুর্বেদকে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণই করেননি, বরং প্রাকৃতিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণার জন্য বিশ্বকে নতুন দিশা দেখিয়েছেন। এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে, ভারতের গবেষণাশক্তি ও আয়ুর্বেদের সম্ভাবনা কতটা শক্তিশালী।”
উল্লেখ্য, পতঞ্জলি জানিয়েছে, আচার্য বালকৃষ্ণের নেতৃত্বে পতঞ্জলি ইতিমধ্যেই ১০০-রও বেশি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করেছে। যা অ্যালোপ্যাথির বিকল্প হিসেবে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তিনি ১২০টিরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেছেন, ২৫টি প্রাচীন পাণ্ডুলিপি সংরক্ষণ ও গবেষণা করেছেন এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে ৩০০-রও বেশি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন।
পতঞ্জলির প্রধান বিজ্ঞানী ড. অনুরাগ বর্শ্ণে বলেন, আচার্যজির গবেষণা ও অবদান আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আধুনিক বিজ্ঞান ও আয়ুর্বেদকে একত্রিত করে একটি সুস্থ, সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভর ভারত গড়তে তাঁর অবদান অপরিসীম।
আচার্য বালকৃষ্ণের এই স্বীকৃতি আবারও প্রমাণ করল, ভারতের প্রাচীন জ্ঞানভাণ্ডার ও আয়ুর্বেদ আধুনিক গবেষণার মাধ্যমে বিশ্বে নতুন উচ্চতায় পৌঁছতে সক্ষম।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন