
ভুল ইনজেকশন দেওয়ার ফলে মৃত্যু হল ৫ রোগীর। এমনই অভিযোগ উঠেছে ওড়িশার কোরাপুটের শহীদ লক্ষ্মণ নায়ক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে। এই ঘটনায় বুধবার সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়িয়েছে হাসপাতাল চত্বরে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃত্যুর কারণ জানতে দেহগুলিকে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
মারা যাওয়া রোগীরা ওড়িশার কোরাপুট, বোরিগুম্মা, সেমিলিগুড়া, মালকানগিরি এবং কালাহান্ডির বাসিন্দা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রোগীদের অস্ত্রোপচারের পরে তিনজন আইসিইউতে এবং দু'জন জেনারেল বেডে ভর্তি ছিলেন। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ওই পাঁচজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের কর্মীরা ইনজেকশন দেওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। যার জেরে বুধবার সকাল থেকেই হাসপাতাল চত্বরের সামনে বিক্ষোভ দেখান রোগীদের পরিবার। পরিস্থিতি সামাল দিতে কোরাপুট টাউন থানার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে, পুলিশ সূত্রে খবর, দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই জানা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ।
এদিকে, এই ঘটনায় মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট সুশান্ত কুমার সাহু জানান, "রোগীদের অবস্থা সংকটজনক হলে, আমাদের কিছু ইনজেকশন দিতে হয়। মনে হয়, সেই ইনজেকশনে রোগীরা সাড়া দেননি। প্রোটোকল অনুসারে, যখন একজন রোগীর রক্তচাপ কমে যায়, তখন আমরা চাপ স্বাভাবিক করার জন্য একই ইনজেকশন দিই"।
এরপরেই পুরো ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি। সুশান্তের কথায়, যদি কোনও ডাক্তারের ওষুধ, ইনজেকশন বা চিকিৎসার গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটে, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি ইনজেকশন বা ওষুধের মেয়াদোত্তীর্ণ এমন প্রমাণ পাওয়া গেলে, কর্তব্যরত ডাক্তারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুশান্ত কুমার সাহু বলেন, "আমরা এই ঘটনার তদন্ত অবশ্যই করব। যদি চিকিৎসায় কোনও ত্রুটি থাকে, তাহলে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন