

বিতর্ক- জল্পনা উড়িয়ে নতুন বছরের শুরুতেই অনুষ্কা শর্মা জানিয়ে দিলেন, প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক ঝুলন গোস্বামীর চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনিই। 'চাকদহ এক্সপ্রেস'-এর টিজার তিনি নিজেই টুইট করেছেন। ঝুলনের বায়োপিক আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে একটা জল্পনা চলছিলই। তার উপর যখন অনুষ্কা এই ছবিতে অভিনয় করবেন বলে জানা গিয়েছে, তখন থেকে আরও একটি বিতর্ক দানা বাঁধে।
একজন শ্যামবর্ণ মানুষের চরিত্রে কেন একজন ফর্সা অভিনেত্রীকে দিয়ে অভিনয় করানো হচ্ছে? এক্ষেত্রে গায়ের রংটা কি তাহলে আসল পরিচয় হয়ে উঠল? বলিউডে এমন অনেক শ্যামবর্ণ অভিনেত্রী আছেন, যাঁরা কিনা যথেষ্ট ভালো অভিনয় দক্ষতার পরিচয় রেখেছেন। তাহলে তাঁদের মধ্য থেকে কাউকে কেন বেছে নেওয়া হল না। তাই হয়তো কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল তৃপ্তি দিমরির নামও।
এছাড়াও একজন বাঙালির চরিত্রের কাউকে অভিনয় করতে গেলে তাঁর বাংলা উচ্চারণ যথেষ্ট ভালো হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু এক ঝলকে যা দেখা গিয়েছে, তাতে তাঁর বাংলা উচ্চারণ এমনকিছু ভালো লাগেনি। এমনটাই অভিযোগ নেট নাগরিকদের।
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে কয়েকদিন পর মুক্তি পাবে 'চাকদহ এক্সপ্রেস’, যেখানে ঝুলন চরিত্রে দেখা যাবে অনুষ্কাকে। টুইটারে তিনি যে ছবি পোস্ট করেছেন, তার সঙ্গের লেখায় ধরা পড়েছে চাকদার লড়াকু মেয়ের সাফল্যের শিখরে পৌঁছনোর চমকদার সফরের প্রশংসা। বিরাট-পত্নী লিখেছেন, তুমুল ত্যাগ স্বীকারের কাহিনী এই ছবিকে এক অন্য জায়গায় তুলে ধরেছে। প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়কের এই বায়োপিক মহিলাদের ক্রিকেটের দুনিয়াকে নতুন করে চিনতে শেখাবে।
গত বছরের শেষে শোনা গিয়েছিল, প্রযোজক হিসাবে পরিচালক প্রসিত রায়ের এই প্রোজেক্টের পাশে থাকবেন। কিন্তু অভিনয় করবেন না। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পেয়েছিল অভিনেত্রীর শেষ ছবি ‘জিরো’। গত বছর জানুয়ারিতে মা হন তিনি। আগামী সপ্তাহেই এক বছর পূর্ণ করবে ভামিকা। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে তিন বছরেরও বেশি সময়, ২০১৮-র পর ২০২২-এ ফিরলেন তিনি।
‘চাকদহ এক্সপ্রেস’-এই তাঁর পর্দায় ফেরা। কিন্তু শুরু থেকেই সঙ্গী হল বিতর্ক। তিন বছর কোনও বড় হিট নেই বলিউডের প্রথম সারির এই অভিনেত্রীর। তাই ঝুলনের বায়োপিকে সেই খরা কাটাতে পারেন কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে ক্রিকেট ও অনুষ্কা প্রেমীরা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন