
ধীরে ধীরে বিতর্কের জট কাটলেও, বক্স অফিসে একেবারেই আশানুরূপ সাফল্য পেল না বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ছবি 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' (The Bengal Files)। মুক্তির আগে থেকেই নানা বিতর্কে ঘেরা ছিল ছবিটি। গোপাল পাঁঠার চরিত্রচিত্রণ নিয়ে আদালত পর্যন্ত টানাপোড়েন চলেছিল। তবে গত সোমবার সেই মামলায় স্বস্তি মিলেছে পরিচালকের। আদালতে নিষ্পত্তি হওয়ায় পথ কিছুটা মসৃণ হলেও বাণিজ্যিক সাফল্য ধরাছোঁয়ার বাইরে।
ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ৫ সেপ্টেম্বর। প্রথম দিনে আয় হয়েছিল ১.৭৫ কোটি টাকা। সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতেও একই ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। সপ্তম দিনে বক্স অফিসে সংযোজন মাত্র এক কোটি টাকা। সব মিলিয়ে প্রথম সপ্তাহ শেষে মোট আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ১১.২৫ কোটি টাকা। দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে প্রায় ২০০টি এবং মুম্বইয়ে ১৯০টির মতো শো চললেও দর্শক টানতে পারেনি প্রত্যাশামতো।
যদিও 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' ইতিমধ্যেই অগ্নিহোত্রীর আগের ছবি 'দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার'–এর সংগ্রহকে (১০.৩ কোটি) ছাড়িয়ে গিয়েছে। কিন্তু ২০২২ সালের ব্লকবাস্টার 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'–এর সাফল্যের ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেনি। ওই ছবির সাফল্যই তাঁকে নতুন প্রকল্পের সাহস জুগিয়েছিল। বিবেক নিজেও স্বীকার করেছেন, 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস' আসলে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মকে লক্ষ্য করেই তৈরি হয়েছিল। বড়পর্দায় এতটা প্রতিযোগিতায় টিকতে হবে সেটা তিনি প্রত্যাশা করেননি।
পরিচালক জানিয়েছেন, 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ১৫ কোটি টাকা এবং সেই ছবি থেকে আয় হয়েছিল প্রায় ৩০ কোটি। সেই অর্থই তিনি নতুন ছবিতে বিনিয়োগ করেছেন। এর বাইরে কিছু ঋণও নিতে হয়েছে, যা এখনও শোধ করা বাকি। তাঁর কথায়, “আমাদের ছবিকে কেউ আর্থিকভাবে সমর্থন করে না। খুব সীমিত বাজেটেই শ্যুট শেষ করতে হয়। তবুও আমাদের স্বপ্ন, একদিন ১০০ কোটির ছবি বানানো।”
এর মধ্যেই কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে ১৩ সেপ্টেম্বর 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস'–এর বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। তবে তা ছিল নির্বাচিত কয়েকজনের জন্য সীমিত এবং সফলভাবেই তা সম্পন্ন হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন