

তামিল সিনেমার হিন্দি ডাবিং নিয়ে পবন কল্যাণকে পাল্টা আক্রমণ করল ডিএমকে। যা নিয়ে দক্ষিণ ভারতের দুই রাজ্যের রাজনীতিতে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার পবন কল্যাণ তামিলনাড়ুর রাজনীতিবিদদের 'হিন্দি বিরোধিতা' নিয়ে সরব হন। তাঁর কাছে তামিল রাজনৈতিক নেতাদের 'হিন্দি বিরোধিতা' অযৌক্তিক।
পবন কল্যাণকে পাল্টা ইতিহাস জানার পরামর্শ দিলেন ডিএমকে নেতা এলানগোভান। তিনি বলেন, "আমরা ১৯৩৮ সাল থেকে হিন্দির বিরোধিতা করে আসছি। আমরা রাজ্য বিধানসভায় আইন পাস করেছিলাম যে তামিলনাড়ু সর্বদা দুই ভাষা নীতি অনুসরণ করবে কারণ এটি শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ভিত্তিতে গঠিত। অভিনেতাদের দ্বারা নয়। বিলটি ১৯৬৮ সালে পাস হয়েছিল যখন পবন কল্যাণের জন্মও হয়নি। তিনি তামিলনাড়ুর রাজনীতি জানেন না।"
এছাড়া ডিএমকে মুখপাত্র ডঃ সৈয়দ হাফিজুল্লাহ বলেন, "তামিলনাড়ু কখনও হিন্দি বা অন্য কোনও ভাষা শেখার বিরোধিতা করেনি। আমরা যেটার বিরোধিতা করি তা হল আমাদের রাজ্যের জনগণের উপর হিন্দি বা অন্য কোনও ভাষা চাপিয়ে দেওয়া"।
প্রসঙ্গত, পিথমপুরমে জনসেনা পার্টির দ্বাদশতম প্রতিষ্ঠা দিবসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পবন কল্যাণ বলেন, "আমি বুঝতে পারছি না কেন কেউ কেউ সংস্কৃতের সমালোচনা করে। তামিলনাড়ুর রাজনীতিবিদরা আর্থিক লাভের জন্য তাদের সিনেমা হিন্দিতে ডাব করার অনুমতি দিয়েও কেন হিন্দির বিরোধিতা করেন? তাঁরা বলিউডের কাছ থেকে টাকা চান কিন্তু হিন্দি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন - এটা কেমন যুক্তি?"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন