
পুরোনো এক মামলায় বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াতকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিল পাঞ্জাবের এক আদালত। আগামী ২৭ অক্টোবর এক মানহানির মামলায় মান্ডির বিজেপি সাংসদকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে পাঞ্জাবের আদালত। ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে কঙ্গনার হাজিরার আবেদন খারিজ করে আদালত এই নির্দেশ দেয়।
২০২০-২১-এ কৃষক আন্দোলনের সময় অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের এক রিট্যুইটকে কেন্দ্র করে বিবাদের সূত্রপাত। যেখানে ভাতিন্দা জেলার বাহাদুরগড় জান্দিয়ান গ্রামের মহিলা মাহিন্দার কাউরের ছবি ব্যবহার করে কঙ্গনা তাঁকে ‘শাহীনবাগের দাদী’ বলে উল্লেখ করেছিলেন।
মাহিন্দার কাউরের আইনজীবী রঘুবীর সিং বেনীওয়াল জানিয়েছেন, আমরা কঙ্গনা রানাওয়াতের ভার্চুয়াল হাজিরার বিরোধিতা করেছি। কারণ আইনে এভাবে কোনও অভিযুক্তকে সশরীরে হাজিরা থেকে ছাড় দেওয়া যায়না। আমরা আদালতের কাছে তাঁর হাজিরা নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছি এবং অন্যথায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছি।
৭৩ বছর বয়সী মাহিন্দার কাউর জানিয়েছেন, এক্স-এ (পূর্বতন ট্যুইটার) এক পোষ্টে বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত তাঁকে শাহীনবাগ আন্দোলনের বিলকিস বানোর সঙ্গে এক করে তাঁর মানহানি করেছেন।
এর আগে বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টে এই মামলা খারিজ করার আবেদন জানিয়ে ব্যর্থ হবার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। যদিও আদালতের পর্যবেক্ষণ, এটা কোনও সাধারণ রিট্যুইট ছিল না। এরপর কঙ্গনা রানাওয়াত সুপ্রিম কোর্ট থেকে তাঁর আবেদন প্রত্যাহার করে নেন।
২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর এক ছবি রিট্যুইট করে কঙ্গনা লিখেছিলেন, "হা হা হা ইনিই তো সেই দাদি যিনি টাইম ম্যাগাজিনে ভারতের সবচেয়ে পাওয়ারফুল মহিলা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন... এবং ১০০ টাকা দিলেই এনাকে পাওয়া যাবে। পাকিস্তানী সাংবাদিকরা বিব্রতকর উপায়ে ভারতের জন্য আন্তর্জাতিক পিআর হাইজ্যাক করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের হয়ে কথা বলার জন্য আমাদের নিজস্ব লোকদের দরকার।"
এই ভুয়ো খবর ছড়ানোর জন্য নেট নাগরিকদের ব্যাপক আক্রমণের মুখে পড়েন কঙ্গনা রানাউত। কিছুক্ষণ পরে নিজের ট্যুইটটি মুছে দেন তিনি। যদিও যার ছবি ব্যবহার করে তিনি এই ভুয়ো অভিযোগ করেছিলেন, সেই মাহিন্দার কাউর এর পর বিষয়টি নিয়ে মানহানির মামলা করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন