রনবীর সিং অভিনীত 'ধুরন্ধর' সিনেমা নিয়ে কয়েকঘণ্টার তফাতে দু'রকম মতামত পেশ করলেন হৃত্বিক রোশন। যা নিয়ে সমাজমাধ্যমে জোর আলোচনা চলছে। প্রথমে তিনি জানিয়েছিলেন সিনেমার রাজনীতির সাথে সহমত নন। পরের পোস্টেই তিনি সিনেমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
রনবীর সিং অভিনীত ধুরন্ধর সিনেমার পোস্টার নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দিয়ে হৃত্বিক লেখেন, "আমি সিনেমা ভালোবাসি। এটি এমন একটি সিনেমা যা সকলকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তবে সিনেমার রাজনীতির সাথে আমি একমত নাও হতে পারি। বিশ্ব নাগরিক হিসেবে আমাদের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কী কী দায়িত্ব পালন করা উচিত, তা নিয়ে তর্ক করা যেতে পারে। তবুও, সিনেমার একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি যে এই সিনেমাকে কতটা ভালোবেসেছি এবং কতটা শিখেছি, তা উপেক্ষা করতে পারি না, এটি অসাধারণ।"
কয়েকঘন্টা পর আরও একটি পোস্ট করেন বলিউড অভিনেতা। যেখানে তিনি লেখেন, "এখনও আমার মাথায় ধুরন্ধর ঘুরছে। ডিরেক্টর আদিত্য ধর অসাধারণ নির্মাতা। রনবীর সিংয়ের নীরবতা থেকে বীরত্ব, কী দারুণ যাত্রা এবং কতটা ধারাবাহিক! অক্ষয় খান্না সবসময়ই আমার প্রিয় আর এই ছবিটাই তার প্রমাণ। আর মাধবন অসাধারণ সৌন্দর্য, শক্তি ও মর্যাদা।”
সবচেয়ে বড় চমক আসে রাকেশ বেদির জন্য তাঁর বিশেষ প্রশংসা করায়। হৃত্বিক লিখেছেন, তাঁর অভিনয় ছিল “অসাধারণ”। তিনি ছবির মেকআপ ও প্রোস্থেটিক্স টিমকেও বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। পোস্টের শেষে তিনি লেখেন, “পার্ট ২-এর জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছি না!!!”
তবে দুই পোস্টের বিপরীত সুর নেটিজেনদের নজর এড়ায়নি। এক্স-এ অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন - দ্বিতীয় পর্যালোচনায় কেন ছবির রাজনীতির বিষয়টি বাদ গেল। অনেকেই হৃত্বিকের কাছে সমাজমাধ্যমে উত্তরের আশা করছেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন