সংসদের ভেতরে বা রাজনৈতিক মঞ্চে তাঁরা একে অপরের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। কেউ কাউকে আক্রমণ করতে ছাড়েন না। যদিও কখনও কখনও এরকম মঞ্চও আসে যেখানে এক মঞ্চে বাঁধা পড়ে যান তৃণমূল-বিজেপি-এনসিপি(এসপি) সকলেই। যদিও এই প্রকাশ্য সখ্যতায় নেটিজেনদের অনেকেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। যদিও কেউ কেউ বিষয়টিকে রাজনৈতিক সৌজন্য হিসেবেই দেখেছেন।
খ্যাতনামা ব্যবসায়ী ও বিজেপি সাংসদ নবীন জিন্দলের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে হিন্দি চলচ্চিত্রের গানের সঙ্গে একই মঞ্চে শুক্রবার নাচতে দেখা গেছে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র, বিজেপির কঙ্গনা রানাওয়াত এবং এনসিপি(এসপি)-র সুপ্রিয়া সুলেকে। মঞ্চে থাকবেন বিজেপি সাংসদ নবীন জিন্দালও।
মূল অনুষ্ঠানের আগেই এই অনুষ্ঠানের মহড়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল এবং শিল্পী সাংসদদের খুব মন দিয়ে মহড়া দিতেও দেখা গেছিল ওই ভিডিওতে। যে ভিডিও দেখে নেটিজেনদের বক্তব্য, ‘তোমরা অকারণে একে অন্যের সাথে মারামারি করো। রাজনীতিবিদরা আসলে সংসদের বাইরের কথা চিন্তা করেনা।’ অন্য এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘এরাই আমাদের সাংসদ, মানুষ বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে আছে আর এরা নাচছেন। মানুষের যা খুশি হোক, এরা নিজেদের কাজ করে যাবেন…’।
প্রসঙ্গত, অতীতে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সিপিআইএম-কে বয়কট করা প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, 'সিপিএমের সঙ্গে চলব না, বিয়েবাড়িতে থাকলে যাব না। বৈবাহিক সম্পর্ক তৈরি করব না, চায়ের দোকানে গল্প করব না। ২০১১-য় একটা স্লোগান দিয়েছিলাম, সেটা আজও প্রযোজ্য। আমি সিপিএমের সঙ্গে চলার পক্ষপাতি নই।' যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। যদিও ২০১১-র পর ২০২৩ সালেই তিনি জানিয়েছিলেন সিপিআইএম প্রসঙ্গে নিজের অবস্থানে তিনি অনড় আছেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন