'পঞ্চায়েত নেতা ও বিধায়কদের কাছে অধিক বাজেট থাকে', রাজনীতি নিয়ে ফের বিতর্কিত মন্তব্য কঙ্গনার

People's Reporter: সদ্য এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা জানিয়েছিলেন, নালা পরিস্কার ও রাস্তা সাফাইয়ের মতো সমস্যা নিয়ে তাঁর দ্বারস্থ হচ্ছেন মানুষ। যেটা মোটেই পছন্দ না তাঁর।
কঙ্গনা রানাউত
কঙ্গনা রানাউতছবি - সংগৃহীত
Published on

সদ্য সাংসদ হিসেবে বছরপূর্তি হয়েছে বলিউড অভিনেত্রী তথা হিমাচল প্রদেশের মান্ডির বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউতের (Kangana Ranaut)। আর এরমধ্যেই রাজনীতি নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে চলেছেন কঙ্গনা। এমনকি সাংসদ-অভিনেত্রীর এই মন্তব্যের জেরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বিজেপির অন্দরেও। এই আবহেই ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন মান্ডির সাংসদ।

কঙ্গনার দাবি, সাংসদদের চেয়ে বিধায়কদের পরিস্থিতি ভাল। সম্প্রতি বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর মন্ত্রকের আশা করেছিলেন তিনি। মান্ডির মতো বিপর্যস্ত জায়গায় মোকাবিলার জন্য মন্ত্রকের দরকার পড়ে। কিন্তু সেটা তাঁর কাছে নেই। তাঁর দাবি, এর চেয়ে ভাল বাজেট রয়েছে পঞ্চায়েত প্রধান ও বিধায়কদের এলাকায়।

এক সাক্ষাৎকারে বিজেপি সাংসদ জানিয়েছেন, “বহু সাংসদই নানা বিষয় নিয়ে চটে রয়েছেন। আমরা পরস্পরের সঙ্গে এ সব নিয়ে আলোচনা করি।” রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে সেতুর কাজ করেন সাংসদেরা। অভিনেত্রী বলেন, “আসলে সাংসদদের কোনও জায়গাই নেই।”

কঙ্গনা জানিয়েছেন, রাজ্যের কোনও জায়গার সঙ্গে যোগ তৈরি হয় না। চলে না কোনও প্রকল্পও। অন্যদিকে, অফিসের বাইরে প্রকল্প অনুমোদনের জন্য লাইন দিয়েই সময় কেটে যায় মন্ত্রীদের। অভিনেত্রীর দাবি, “বহু সাংসদ মনে করেন, পঞ্চায়েত নেতা ও বিধায়কদের কাছে কাজের জন্য অধিক বাজেট থাকে। আসলে আমাদের কেউ সম্মান করে না"।

কঙ্গনা আশা করেননি রাজনীতিতে আসলে এত পরিশ্রম হবে। তাঁর কথায়, “আমি ভাবিনি, এতটা পরিশ্রম করতে হয়। আমাকে যখন কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তখন জানানো হয়, ৬০-৭০ দিন সংসদে উপস্থিত থাকলেই হবে। বাকি দিনগুলোয় নিজের কাজ করা যাবে। বিষয়টা শুনে ঠিকঠাকই মনে হয়েছিল। কিন্তু এখন দেখছি, অনেকটা সময় দিতে হয়"।

প্রসঙ্গত, এর আগে এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা জানিয়েছিলেন, নালা পরিস্কার ও রাস্তা সাফাইয়ের মতো সমস্যা নিয়ে তাঁর দ্বারস্থ হচ্ছেন মানুষ। যেটা মোটেই পছন্দ না তাঁর। কঙ্গনা বলেন, ‘‘আমি একেবারেই বলব না যে, রাজনীতিতে এসে খুব ভাল আছি। কারও বাড়ির নালা ভেঙে গিয়েছে, কোথাও ভাঙা রাস্তা সারাই করতে হবে, সেই সব সমস্যা নিয়ে লোকে আমার কাছে আসছেন। কিন্তু তাঁদের বুঝতে হবে, আমি একজন সাংসদ। পঞ্চায়েত ও বিধায়কদের পর্যায়ে কাজের জন্য আমাকে বলছে।’’

অন্য একটি সাক্ষাৎকারে রাজনীতিতে রোজগার নিয়েও নিজের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তিনি বলেছিলেন, “আমি একটা বিষয় বুঝেছি। একজন সাংসদকে যে বেতন দেওয়া হয়, তাতে রাঁধুনি বা গাড়ির চালককে বেতন দেওয়ার পরে থাকে মাত্র ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। আপনি সাংসদ হলে আপনার একটা চাকরির দরকার পড়বে।”

কঙ্গনা রানাউত
'দেশে গরীবের সংখ্যা বাড়ছে, সম্পদ ধনীদের হাতে কেন্দ্রীভূত হচ্ছে' - উদ্বেগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
কঙ্গনা রানাউত
Kangana Ranaut: দলীয় নেতার পরামর্শেই বন্যা-বিধ্বস্ত মান্ডিতে যাননি! প্রশ্নের মুখে দাবি কঙ্গনার

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in