শ্রীলেখা মিত্র
শ্রীলেখা মিত্রছবি সৌজন্যে শ্রীলেখা মিত্রের ফেসবুক পেজ

Sreelekha Mitra: শ্রীলেখার বাড়ির সামনে পোস্টার! প্রাণহানির আশঙ্কায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ অভিনেত্রী

People's Reporter: দক্ষিণ কলকাতার বেহালার মতিলাল গুপ্ত রোডে অভিনেত্রীর ফ্ল্যাটের সামনে ঝুলল বড় বড় পোস্টার। তাতে লেখা— “অসভ্য শ্রীলেখা মিত্রকে সামাজিকভাবে বয়কট করুন, এখান থেকে হঠাও।”
Published on

অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের প্রাণহানির আশঙ্কা! দক্ষিণ কলকাতায় তাঁর ফ্ল্যাটের সামনে ঝুলল বড় বড় পোস্টার। তাতে লেখা— “অসভ্য শ্রীলেখা মিত্রকে সামাজিকভাবে বয়কট করুন, এখান থেকে হঠাও।” এই ঘটনায় তীব্র মানসিক চাপে পড়ে প্রাণহানির আশঙ্কায় নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন অভিনেত্রী। আদালত মামলার অনুমতি দিয়েছে। আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে।

দক্ষিণ কলকাতার ১২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শ্রীলেখা মিত্র। বেহালা সোদপুরের মতিলাল গুপ্ত রোডে ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি। অভিযোগ, ৯ আগস্ট আর জি কর কাণ্ডের বছরপূর্তির দিন অভয়া মঞ্চের ডাকে জনসভায় মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে বক্তব্য রাখার পর থেকেই অচেনা নম্বর থেকে ফোনে কুরুচিকর মন্তব্য আসতে শুরু করে শ্রীলেখার কাছে। ১১–১২ আগস্ট তাঁর পরিচারিকা বাড়ির সামনে পোস্টার দেখেন। পরে শ্রীলেখা নিজেও দেখেন ব্যানার ঝুলছে। তিনি স্থানীয় থানায় এবং কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলে অভিযোগ জানান, কিন্তু তেমন ব্যবস্থা হয়নি বলেই দাবি তাঁর।

শ্রীলেখার আইনজীবীর বক্তব্য, সরকার ও শাসকদল বিরোধী মন্তব্যের জেরেই তাঁকে সামাজিকভাবে বয়কট করার ডাক দেওয়া হচ্ছে। এতে তাঁর সামাজিক সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। পাশাপাশি প্রাণহানির আশঙ্কাও রয়েছে। তাই আদালতের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন অভিনেত্রী।

১২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সোমা চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, শ্রীলেখার আচরণে প্রতিবেশীরা বিরক্ত। মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ ও আবাসনে পথকুকুর ইস্যুতে গোলমাল হওয়ায় আগেও বিরাগভাজন হয়েছেন তিনি। “তিনি কোনও অভিযোগ জানাননি। মামলা করা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়,” মন্তব্য কাউন্সিলরের।

কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শ্রীলেখা মিত্র
Swara Bhaskar: মানুষ দিন দিন দানবে পরিণত হচ্ছে! মন্দিরের পরিষেবককে পিটিয়ে মারার ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বরা
শ্রীলেখা মিত্র
Javed Akhtar: মৌলবাদের কাছে নতিস্বীকার! রাজ্যে স্থগিত জাভেদ আখতারের অনুষ্ঠান

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in