
সোনা পাচারের অভিযোগে বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হলেন কন্নড় সিনেমার অভিনেত্রী রান্যা রাও। সূত্রের খবর, ১৪.২ কেজি সোনা পাচার করছিলেন তিনি। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১২.৫৬ কোটি টাকারও বেশি।
রান্যা রাও কর্ণাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি রাজ্য পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশনের ডিজিপি রামচন্দ্র রাওয়ের সৎ মেয়ে। তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠায় রীতিমতো সকলেই অবাক।
রাজস্ব বিভাগের (DRI) কর্মকর্তারা জানান, গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে দুবাই থেকে বেঙ্গালুরু ফেরার পর রান্যা রাও-কে আটক করা হয়। সোমবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে অর্থনৈতিক অপরাধ আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয়। বর্তমানে রান্যা রাও-কে বেঙ্গালুরুর এইচবিআর লেআউটে ডিআরআই সদর দপ্তরে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তদন্তে উঠে এসেছে, রান্যা রাও নিজের পোশাকের মধ্যে সোনার বার লুকিয়ে রেখেছিলেন। বিশাল পরিমাণ সোনা তাঁর জ্যাকেটের ভিতরে লুকানো ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে।
অভিনেত্রীর মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে চারবার দুবাই ভ্রমণেই সন্দেহ হয় গোয়ান্দাদের। কর্তৃপক্ষ জানায়, তাঁর লাগাতার বিদেশ সফরের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছিল। ভারতে ফেরার পর তাঁকে তল্লাশি চালিয়ে সোনা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা আরও জানান, পুলিশের শীর্ষ পদে থাকা তাঁর সৎ বাবার পরিচয়কে হাতিয়ার করেই কাস্টমস চেক এড়িয়ে যাচ্ছিলেন রান্যা। এমনকি বিমানবন্দরে এসকর্ট পেতে স্থানীয় পুলিশের সাথেও যোগাযোগ করেছিলেন বলেও জানান আধিকারিকরা। তবে পুরো বিষয়টা ডিজিপি রামচন্দ্র রাও জানতেন কিনা তা এখনও তদন্তের অধীন।
ডিআরআই ইতিমধ্যে বেঙ্গালুরুর লাভেল রোডে রান্যা রাওয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে, যেখানে তিনি তাঁর স্বামীর সঙ্গে থাকেন। তল্লাশিতে ২.০৬ কোটি টাকা মূল্যের সোনার গয়না ও ২.৬৭ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। গোয়ান্দাদের অনুমান, রান্যা রাও একা নন, এই পাচার চক্রের সাথে আরও অনেকে জড়িত রয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন