
১০ মার্চ, নন্দীগ্রাম- তৃণমূল আগেই টলি-তারকাদের দলে নিয়ে এবং প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল। পিছিয়ে নেই বঙ্গ বিজেপিও। গত রবিবার মোদির ব্রিগেড সমাবেশে মঞ্চে দেখা যায় মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীকে। তাঁর ডায়লগ ছিল- "আমি জাত গোখরো, এক ছোবলে ছবি"। এবার তাঁকে হাতিয়ার করে প্রচার করতে চায় বিজেপি।
শুক্রবার নন্দীগ্রামে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী।তাঁর সঙ্গে থাকার সম্ভাবনা ডিস্কো ডান্সার মিঠুনের। এদিকে নন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি গতকাল সভা করেছেন। ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়ে ফেলেছেন হলদিয়ায়। বুধবারই নন্দীগ্রামে পৌঁছে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার বিজেপির ব্রিগেড থেকে মিঠুন ঘোষণা করেছিলেন- ১২ মার্চ থেকে প্রচারে নামবেন। তাই মনে করা হচ্ছে শুভেন্দু মনোনয়ন পেশ পর্বে থাকবেন মিঠুন চক্রবর্তী। পরে নন্দীগ্রামে প্রচারেও পা মেলাবেন। শুভেন্দুর মনোনয়নের সময় তাঁর সঙ্গে থাকার কথা দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও ধর্মেন্দ্র প্রধানের। পাশাপাশি বিজেপি মিঠুনের সিনেমার ডায়লগকেই যেন হাতিয়ার করতে চাইছে।
শুভেন্দুর বক্তব্য, তিনি নন্দীগ্রামকে হাতের তালুর মতো চেনেন। তিনি এখানকার ভোটার কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নন। সেই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে বলেন, "কেউ বলছে আমি বাইরের লোক। আমিও বহিরাগত? তাহলে তো আমার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া দরকার ছিল না।"
প্রসঙ্গত ২০২০ সালের শেষে ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর জানুয়ারি মাসে একটি জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন তিনি নন্দীগ্রাম এবং ভবানীপুর এই দুই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি শুধু নন্দীগ্রামেরই প্রার্থী হন। তবে তিনি আগেই বলেছিলেন নন্দীগ্রামে প্রচারে তিনি খুব বেশি উপস্থিত হতে পারবেন না। কিন্তু নির্বাচনের পর অবশ্যই নিয়মিত আসবেন। তাঁর প্রচার থেকে নির্বাচনী কাজ দেখাশোনা করতে তৈরি হয়েছে বিশেষ দল। যার দায়িত্বে আছেন রাজ্যসভার দুই সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় ও দোলা সেন। এছাড়া বিশেষ দায়িত্বে আছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লিখন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন