WB Election 21: আয়ুষ্মান, স্বাস্থ্যসাথী কোথায়? রাজ্য ও কেন্দ্রকে একযোগে তোপ সেলিমের

সেলিম বলেন, আমরা সবসময় সর্বজনীন টিকাকরণের দাবি করেছিলাম। স্বাধীনতার পর থেকে সব সরকারই যে কাজটা করেছিল। এই প্রথম ভারত সরকার হাত ধুয়ে ফেলতে চাইছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে মহম্মদ সেলিম
সাংবাদিক সম্মেলনে মহম্মদ সেলিমনিজস্ব চিত্র
Published on

২২ এপ্রিল, কলকাতা- বিজেপি ও তৃণমূল সরকার উভয়েই আসলে অপদার্থ। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর সবরকমের বিজ্ঞাপনের প্রচার আসলে ভুয়ো। সরকার সবার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে বলে যে প্রচার করেছিল, সেই সব কোথায়? আয়ুষ্মান ভারত কোথায়? স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পই বা কোথায়? বুধবার এভাবেই কেন্দ্র ও রাজ্যকে বিঁধলেন সিপিআইএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম।

খোলাবাজারে ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সেলিম বলেন, আমরা সবসময় সর্বজনীন টিকাকরণের দাবি করেছিলাম। স্বাধীনতার পর থেকে সব সরকারই যে কাজটা করেছিল। এই প্রথম ভারত সরকার হাত ধুয়ে ফেলতে চাইছে। কিন্তু তা করলে হবে না। প্রধানমন্ত্রীকে দায়িত্ব নিতে হবে। তাঁর অভিযোগ, প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়লেও বেড সংখ্যা বাড়ছে না। মৃত্যু বাড়ছে অথচ ভ্যাকসিন নেই, ওষুধও নেই। ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। পিএম কেয়ার্স ফান্ড থেকে কত টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে, তার কোনই হিসেব নেই। সিএজিও জানে না। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি সব মানুষের উদ্বেগে আছেন। আতঙ্কে রয়েছেন। তার জন্য ভ্যাকসিননের চাহিদা বাড়ছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে মহম্মদ সেলিম
“পরে গড়বি সোনার বাংলা, আগে দেশকে সামলা” - করোনার ওষুধ কালোবাজারি প্রসঙ্গে সেলিমের কটাক্ষ

আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের উর্ধ্বে সবাই ভ্যাকসিন পাবেন। ফলে এই চাহিদা আর বাড়বে। এই চাহিদা পূরণ করার জন্য কোন ব্যবস্থা নেয়নি কেন্দ্র, এমনই অভিযোগ করলেন সেলিম। ধনী দেশগুলো তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ভ্যাকসিন সংগ্রহ করেছে। কিন্তু ভারত প্রস্তুতকারী দেশ হয়েও নিজেদের মানুষের কথা ভেবে সংগ্রহে রাখেনি। সেলিমের কথায়, মোদি-মমতা দুজনেই অপদার্থ। কেন্দ্র টিকাকরণের উৎসব করেছে কিন্তু মানুষের টিকাকরণের ব্যবস্থা করেনি। এই দুর্দিনে আসলে পুঁজিপতিদের, ফার্মা কোম্পানিগুলির উৎসব হয়েছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে চাই না। বামপন্থীরা আগেও মানুষের পাশে ছিল। এখন যেখানে ভোট হয়ে গেছে, সেখানে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বামপন্থীরাই মানুষের পাশে থাকবে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in