

শীতলকুচি গুলি কাণ্ডে চারজনের মৃত্যু হওয়ার ঘটনায় একটি ভুয়ো ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নির্বাচন কমিশন সেই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করেনি। কিন্তু যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, খুব ভালোভাবে দেখলে বোঝা যাবে যে এটি আদৌ শীতলকুচির ঘটনা নয়।
চতুর্থ দফা ভোটের দিন শনিবার কোচবিহারের শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে হামলা করার অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালানো হয়। এমনটাই দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ওই ঘটনার কোনও ভিডিও নির্বাচন কমিশন প্রকাশ না করলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওটিতে দাবি করা হচ্ছে, শীতলকুচির একটি বুথে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
বাংলার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে শীতলকুচির ঘটনার যে ভিডিও ও ছবি প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়েছে, তার সঙ্গে এই ভিডিওর পার্থক্য রয়েছে। আর ভিডিওর বুথটি একটি ঘেরা কম্পাউন্ডের মধ্যে। শীতলকুচির বুথে গুলি বা বিস্ফোরণের সঙ্গে মানুষকে পালাতে দেখা যায়। এক বোমা পড়ার ছবিও দেখা গিয়েছে। ভাইরাল ভিডিওটিতে গুলি বা বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভোটারদের লাঠি হাতে ঘেরা কম্পাউন্ড থেকে বের করে দিতে দেখা যায়।
আরও দেখা গিয়েছে, ভিডিওটি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের। ১৮ এপ্রিল ইউটিউব আপলোড করেছিল দ্যা নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ভিডিয়োটির ক্যাপশন ছিল "India Elections 2019: Violence disrupts polling in Inner Manipur। সেখানে ঘটনার বর্ণনাও দেওয়া হয়। ভালো করে দেখলে বুথের নামও বোঝা যাচ্ছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন