১৩ মার্চ, কলকাতা- কোনও ষড়যন্ত্র নয়, নিছক দুর্ঘটনা। নির্বাচন কমিশনকে শুক্রবার মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক রিপোর্ট পাঠিয়েছে। তাতে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। দুজনেই পৃথক পৃথকভাবে রিপোর্ট পেশ করেছেন। এদিকে, মুখ্যসচিবের রিপোর্টে ‘যথেষ্ট তথ্য’ না থাকায় আজকের মধ্যে তাঁকে আরও তথ্য দিতে বলা হয়েছে, এমনটাই কমিশন সূত্রের খবর।
জেলাশাসক নবান্নে রিপোর্ট পাঠালে তা দেখে নির্বাচন সদনে রিপোর্ট পাঠাবেন মুখ্যসচিব। প্রথমে এমনটাই ঠিক ছিল। পরে কমিশন দু’জনের কাছ থেকে আলাদা রিপোর্ট চায়। জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্র দফতর জেলা পুলিশের থেকে ঘটনার একটি রিপোর্ট চেয়ে নিয়েছিল। মুখ্যসচিব যে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন, তার মূল ভিত্তি জেলা প্রশাসনেরই রিপোর্ট। নবান্ন সূত্রের দাবি, ওই রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ঘটনার দিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার চলছিল। বিরুলিয়া বাজারে ভিড় থাকায় গাড়িটি ধীরে চলছিল। একটি বাঁকের মুখে গাড়ির দরজার চাপে পড়ে যায় মুখ্যমন্ত্রী পা। তবে কেউ জোর করে দরজা বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল বা দরজা ধাক্কা দিয়েছিল, এরকম কোনও কথা মুখসচিবের রিপোর্টে উল্লেখ নেই। তবে মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার কর্মসূচিতে ভিড় হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
কমিশন সূত্রের খবর, জেলাশাসকের রিপোর্ট বলছে, ১০ মার্চ নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থীর হেলিকপ্টার নামার অনুমতি ছিল। বাকি কোনও প্রচার-কর্মসূচির অনুমতি রিটার্নিং অফিসার দেননি। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে প্রচুর মানুষের ভিড় জমে রাস্তায়। সেখানে দুটো পিলার ছিল। তাতে ধাক্কা লেগে মুখ্যমন্ত্রী গাড়ির দরজা বন্ধ হয়ে যায় কি না, তা গাড়ির চালক বা দেহরক্ষীর সঙ্গে কথা না বলে জানা সম্ভব নয়।
এছাড়া ওই রিপোর্টে কেউ ধাক্কা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ির দরজা বন্ধ করেছে বলেও উল্লেখ নেই। দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে চোট লেগেছে। তবে কেন তা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন ।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।