১৮ এপ্রিল, বর্ধমান- গত ১০ বছরে রাজ্যের মানুষ তৃণমূল সরকারের কাছ থেকে কী পেয়েছেন? গুগলে সার্চ করলে পাওয়া যাবে না যে মুখ্যমন্ত্রী একটি সেফটিপিনের কারখানাও উদ্বোধন করেছেন। মিথ্যা দিয়ে চিরকাল সত্যকে ঢাকা যায় না। নন্দীগ্রাম, নেতাই, সিঙ্গুরে মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন। তৃণমূল শুধুই ক্ষমতা চেয়েছে। রাজ্য, রাজ্যের মানুষ দশটা বছর পিছিয়ে গিয়েছেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এখন ঘুরে দাঁড়ানোর সময়। বাংলার মানুষকে এই ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে শামিল হয়ে আসল সরকার গঠনে ভূমিকা নিতে হবে। কাঁকসায় নির্বাচনী সমাবেশে এমনটাই বললেন সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ।
গলসি, দূর্গাপুর পুর্ব কেন্দ্রে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করেন তিনি। সুশান্ত ঘোষ বলেন, ওটা বদল চাই বলে বদলা নিয়েছে। কিসের বদলা? আমরা কৃষির সাফল্যের ভিতে দাঁড়িয়ে রাজ্যের সাফল্য চেয়েছিলাম। চেয়েছিলাম রাজ্যের ছেলেমেয়েরা রাজ্যেই কাজ পাক। সিঙ্গুরের কাজ হয়ে গিয়েছিল প্রায় ৯০ শতাংশ। ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। আর সত্য প্রকাশ পাচ্ছে সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, নেতাইয়ের।
তিনি আরও বলেন- আমাদের সময় সাম্প্রদায়িক বিজেপি মাথা তুলতে পারেনি। অথচ তৃণমূল এই ১০ বছরে বিজেপিকে ডেকে এনেছে রাজ্যে। দুই দল মিলে ধর্মীয় বিভাজন করে মানুষের মাঝে বিভেদ তৈরি করেছে। রাজ্যের মানুষ আজ বিভাজনের শিকার। তৃণমূলে যারা লুটপাট করত, এখন তারাই বিজেপিতে প্রার্থী হতে পারছে। তাই বদল দরকার। বিকল্প সরকার গড়ে তুলুন।
প্রসঙ্গত, প্রায় ৩২ বছর গড়বেতার বিধায়ক ছিলেন সুশান্ত ঘোষ। ২০১১ সালে প্রবল পরিবর্তনের হাওয়াতেও গড়বেতা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। তারপরেই বেনাচাপড়া কঙ্কালকান্ডে তাঁর নাম জড়ায়। যার জেরে প্রায় দশ বছর এলাকায় ঢুকতে পারেননি আইনি জটিলতায়। সুশান্ত ঘোষের অভিযোগ – তাঁকে ফাঁসানো হয়েছিল। এবারের নির্বাচনে আর গড়বেতা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি সুশান্ত ঘোষ। তার বদলে শালবনী থেকে সংযুক্ত মোর্চার সমর্থিত বামফ্রন্ট প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়েছেন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।