আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখলো নিউজিল্যান্ড। ফিন অ্যালানের ঝড়ো শুরুর পর কিউইদের হয়ে এদিন নিজেকে মেলে ধরেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ইনিংসের শেষার্ধে বিশ্বকাপ ইতিহাসের দ্বিতীয় আইরিশ হিসেবে হ্যাটট্রিক করেন জশুয়া লিটল। তা অবশ্য নিউজিল্যান্ডকে রানের পাহাড় গড়তে অসুবিধায় ফেলেনি। বল হাতে স্যান্টানার-সোধির স্পিন জুটিতে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়ে আয়ারল্যান্ড। ৩৫ রানে বড় জয় তুলে নেয় কিউইরা।
অ্যাডিলেড ওভালে প্রথম দফায় ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের হয়ে এদিন শুরুতেই ঝড় তুলেছিলেন ফিন অ্যালান। ১৮ বলে ৩২ করে যান তিনি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিজেকে মেলে ধরেন উইলিয়ামসন। ফিন অ্যালান ৩৩ বল খেলে ২৮ রানে ফিরে গেলেও কিউই অধিনায়ক এদিন দুরন্ত ছন্দে রান বাড়াতে থাকেন। ৩৫ বল খেলে ৬১ রান করেন উইলিয়ামসন।
উইলিয়ামসনকে ফেরানোর পরের দুই বলে নিজাম ও স্যান্টনারকে ফিরিয়ে ক্যাম্ফারের পর দ্বিতীয় আইরিশ হিসেবে বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করেন লিটল। নিউজিল্যান্ডের হয়ে এদিন মূল্যবান ইনিংস খেলেন ডেরিল মিচেলও। শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে ২১ বলে ৩১* রান সংগ্রহ করে লড়াইয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডকে যথেষ্ট পুঁজি এনে দেন মিচেল।
১৮৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটি স্টার্লিং-বিলবার্নে প্রথম উইকেটে ৬৮ রান যোগ করে কিউইদের বেশ ভয় ধরিয়ে দেয়। তবে এই জুটি ভাঙার পরে সোধি-স্যান্টানারের দাপটে আইরিশরা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। স্টার্লিং ৩৭ রান করে শিকার হন সোধির। বিলবার্নেকে ব্যক্তিগত ৩০ রানে ফেরান স্যান্টানার। সবমিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রানেই থেমে যায় আয়ারল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে এই ম্যাচে তিনটি উইকেট নেন লকি ফার্গুসন। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্যান্টানার, ইশ সোধি এবং টিম সাউদি।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।