

এক ম্যাচে রেকর্ডের পাহাড় গড়লো দক্ষিণ আফ্রিকা। শনিবার বিশ্বকাপের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের মঞ্চে দ্রুততম সেঞ্চুরি, এক ইনিংসে সর্বাধিক রান এবং একই দলের তিন জন প্লেয়ার সেঞ্চুরি করে নজির গড়লেন।
বলা চলে বিশ্বকাপ জমে উঠেছে। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনে একের পর এক রেকর্ড গড়লো দক্ষিণ আফ্রিকা। টসে জিতে বোলিং-র সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। প্রথমেই আউট হয়ে ফিরে যান প্রোটিয়া অধিনায়ক বাভুমা। প্রথম ১০ ওভার পাল্লা ভারী ছিল শ্রীলঙ্কার দিকে। তারপর থেকে শুরু হয় ক্যুইন্টন ডি'কক এবং ভ্যান ডার ডুসেন ম্যাজিক।
দু'জনেই কার্যত ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন। যার মধ্যে ৮৪ বলে ১০০ রান করে আউট হয়ে যান ডি'কক। ২০১৫ সাল থেকে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় হয়ে বিশ্বকাপ খেলছেন। কিন্তু এতদিন বিশ্বকাপের মঞ্চে একটিও সেঞ্চুরি ছিল না। এই প্রথম বিশ্বকাপের মঞ্চে তিনি সেঞ্চুরি করলেন। এরপর ভ্যান ডার ডুসেনের সঙ্গ দেন মার্করাম। ডুসেন ১১০ বলে ১০৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। কিন্তু 'মার্করাম শো' ততক্ষণে শুরু হয়ে গেছে। মাত্র ৪৯ বলে বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক হলেন তিনি।
এর আগে কেবিন ও'ব্রায়েন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন। ৫১ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। তিনিও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৫২ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন আরেক প্রোটিয়া তারকা এবি ডেভিলিয়ার্স।
শুধু দ্রুততম সেঞ্চুরিই নয়, এক ইনিংসে সর্বচ্চো রানও করে ফেললো দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা করেছে ৪২৮ রান। বিশ্বকাপের মঞ্চে এর আগে সর্বাধিক রানের মালিক ছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৪১৭ রান করেছিল অজিরা। তারপরেই রয়েছে ভারত। ২০০৭ বিশ্বকাপে বারমুডার বিরুদ্ধে ৪১৩ করেছিল। ২০১৫ সালে ৪১১ রান করেছিল দক্ষিন আফ্রিকা। বিপক্ষ দল ছিল আয়ারল্যান্ড। ওই একই বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৪০৮ রান করেছিল দক্ষিন আফ্রিকা।
আবার একই ম্যাচে একটি দলের তিনজন প্লেয়ারের সেঞ্চুরি করার নজিরও নেই বিশ্বকাপের মঞ্চে। এদিন মার্করাম করলেন ৫৪ বলে ১০৬। ডি'কক করলেন ৮৪ বলে ১০০ এবং ভ্যান ডার ডুসেন করলেন ১১০ বলে ১০৮। এখন যদি শ্রীলঙ্কা পাহাড় সমান রান চেজ করে দেয় তাহলে ক্রিকেট বিশ্বকাপে আরও একটি রেকর্ড তৈরি হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন