

গত বছর চোটের কারণে উইম্বলডন থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস। সেন্টার কোর্ট থেকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে যাওয়ার সময় টেনিস কিংবদন্তীর চোখের জলের সাক্ষী থেকেছিলো টেনিস বিশ্ব। সেই উইম্বলডনের মঞ্চেই মঙ্গলবার একবছর পর প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছিলেন ২৩টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ী সেরেনা। তবে ফেরাটা সুখকর হলো না তাঁর জন্য। বছর ৪০-এর সেরেনা প্রথম রাউন্ডেই হেরে বিদায় নিলেন ফ্রান্সের হারমনি ট্যানের কাছে।
এই ম্যাচের সম্পূর্ণ অংশ জুড়েই ছিলো দর্শকদের চরম উত্তেজনা। উত্তেজনার পারদ এতোটাই চড়েছিলো যে, চেয়ার আম্পায়ার বাধ্য হয়ে দর্শকদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানান। এই উত্তেজনা ছিলো একজনকে ঘিরেই। তিনি হলেন ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে খেলতে আসা সেরেনা উইলিয়ামস।
উইম্বলডনে অভিষেক ঘটা হারমনির বিপক্ষে প্রথম সেটে ৫-৭ ব্যবধানে হারের পর দ্বিতীয় সেটে সেরেনা যেভাবে প্রত্যাবর্তন করলেন তা দেখে কে বলবেন যে তিনি চোটের কারণে একবছর বাইরে ছিলেন। দ্বিতীয় সেটে ৬-১ ব্যবধানে জয় তুলে নেন সেরেনা।
তৃতীয় সেটে অখ্যাত ট্যান এবং সেরেনার লড়াই জমে ওঠে আরও তীব্রতর। শেষ পর্যন্ত খেলা পৌঁছায় টাইব্রেকারে। যেখানে সেরেনাকে মাত দিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে জায়গা করে নেন হারমনি।
সেরেনার হারের পর উইম্বলডনের জৌলুস যে কমলো তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। তবে টেনিস কেরিয়ারের শেষ লগ্নে পৌঁছানো সেরেনাকে যখন প্রশ্ন করা হলো, এটাই কি তাঁর শেষ উইম্বলডন! জবাবে ২৩ টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ী বললেন, "এর জবাব আমি দিতে পারবো না। কে বলতে পারে, আমি তো আবার ঘুরে দাঁড়াতেই পারি।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন