

১১১ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার অবনমনের মুখ দেখলো পেলে, নেইমারের প্রাক্তন ব্রাজিলিয়ান ক্লাব স্যান্টোস এফসি। দ্বিতীয় ডিভিশনে নেমে যাওয়ার পরই ব্রাজিলের একাধিক রাস্তায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত ক্লাব সমর্থকরা।
চলতি মরসুমে ব্রাজিলের প্রথম ডিভিশন লিগের শুরু থেকেই ছন্দে ছিল না ১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ক্লাব স্যান্টোস এফসি। বৃহস্পতিবার নিজেদের লিগ পর্যায়ের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল স্যান্টোস। ফোরটালেজার বিরুদ্ধে ২-১ ব্যবধানে হারে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি প্রয়াত পেলের প্রাক্তন ক্লাব। ৩৮ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে ২০ দলের মধ্যে ১৭তম স্থানে লিগযাত্রা শেষ হয় স্যান্টোস এফসির। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ক্লাব সমর্থকরা।
স্টেডিয়ামের বাইরে থাকা একাধিক গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। রাস্তায় থাকা বিভিন্ন জিনিসও ভেঙে ফেলে। কার্যত ভয়াবহ চেহারা নেয় ভিয়া বেলমিরো স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকা। স্টেডিয়ামের মধ্যেও ব্যাপক ভাঙচুর চালায় সমর্থকরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অবনমন বাঁচাতে গেলে শেষ ম্যাচ জিততেই হতো স্যান্টোসকে। কিন্তু হেরে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। স্যান্টোসের পাশাপাশি অবনমনের আওতায় পড়েছে গোইয়াস, করিটিবা এবং আমেরিকা-এমজির মতো ক্লাবগুলি।
এই স্যান্টোস ক্লাব থেকেই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার জুনিয়রের উত্থান। ২০০৩-২০০৯ সাল পর্যন্ত স্যান্টোসের যুব দলে ছিলেন তিনি। ২০০৯-২০১৩ সাল পর্যন্ত স্যান্টোসের সিনিয়র দলে খেলেন নেইমার। বলা চলে স্যান্টোসে নেইমারের খেলা দেখেই বার্সেলোনা তাঁকে সই করায়। স্যান্টোসের হয় ১৭৭ ম্যাচে ১০৭টি গোল আছে নেইমারের নামে। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলেরও বিশ্ব ফুটবলে পরিচিতি স্যান্টোসের হাত ধরেই। ১৯৫৬-১৯৭৪ সাল পর্যন্ত স্যান্টোসের হয়ে ৫৮৩টি ম্যাচ খেলেছিলেন পেলে। গোল করেছিলেন ৫৬৯টি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন