

১ ওভারে ৭টা ওভার বাউন্ডারি! বিজয় হাজারে ট্রফিতে নতুন নজির গড়লেন চেন্নাই সুপার কিংসের ওপেনার তথা মহারাষ্ট্রের অধিনায়ক রুতুরাজ গাইকোয়াড়। তাঁর ধ্বংসাত্মক ব্যাটিং-র ফলে এক ওভারেই এলো ৪৩ রান।
সকলেই হয়তো ভাবছেন ১ ওভারে ৭টা ছয় তাও পরপর কীভাবে সম্ভব? আসলে সোমবার বিজয় হাজারে ট্রফির কোয়াটার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশ। টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় উত্তরপ্রদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪১ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে মহারাষ্ট্র। ধীরে ধীরে রান করতে থাকেন মহারাষ্ট্রের অধিনায়ক রুতুরাজ।
৪৯তম ওভারে ঘটে অঘটন। মাঠে তখন ব্যাট করছিলেন রুতুরাজ গাইকোয়াড় ও এস নাওয়ালে। ওই ওভারে উত্তরপ্রদেশের শিবা সিং বল করতে আসেন। লেফট আর্ম স্পিনারের প্রথম বলেই ছয় মারেন রুতুরাজ। দ্বিতীয়, তৃতীয়, ও চতুর্থ বলে পর পর ছয়। পঞ্চম বলেও ছয় মারেন তবে সেটা হয় ‘নো বল’। ফলে অতিরিক্ত বল করতে হয় বোলারকে। বাকি দুটি বলেও কোনো ভুল করনেনি চেন্নাই সুপার কিংসের ওপেনার। নিজের দক্ষতায় একেবারে বাউন্ডারির বাইরে বল।
৫০ ওভার পর্যন্ত নট আউট থাকেন রুতুরাজ। ১৫৯ বলে ২২০ রানের ইনিংসের মধ্যে ১০টা বাউন্ডারি ও ১৬টা ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি। তাঁর রানের ওপর ভর করেই ৫ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ৩৩০ রান করে মহারাষ্ট্র। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করেছে উত্তরপ্রদেশ। ব্যাট করছেন আরিয়ান জুয়াল (৯৮ বলে ৮৬*) ও শিবম শর্মা (৪ বলে ৫*)।
রুতুরাজের ২২০* রান হলো প্রথম শ্রেণি বা লিস্ট এ ক্রিকেটে ৩৯তম ডবল সেঞ্চুরি। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের অধিনায়ক ভারতীয় ক্রিকেটে পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের মালিক হলেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন