Paris Olympics 24: 'নাদিমও আমার সন্তান' - ছেলের রুপো জয়ে ভারত-পাকিস্তানকে মিলিয়ে দিলেন নীরজের মা

People's Reporter: নীরজের মা জানান, "ছেলে খুব ভালো খেলেছে। ও রুপো জেতায় আমরা খুব খুশী। আমাদের কাছে রুপোটাও সোনা জয়ের সমান। সোনা জয়ী আর্শাদ নাদিমও আমার সন্তান"।
নীরজ এবং আর্শাদ
নীরজ এবং আর্শাদছবি - সংগৃহীত
Published on

টোকিও অলিম্পিক্সের পর সমস্ত ভারতীয় আশা করেছিল ফের সোনা পাবেন নীরজ চোপড়া। সকল ভারতীয়র নজর ছিল তাঁর থ্রোয়ের দিকে। কিন্তু রুপো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল নীরজকে। পাকিস্তানের আর্শাদ নাদিমের কাছে পরাজিত হন নীরজ। কিন্তু নীরজের মা সরোজ দেবী জানান আর্শাদও তাঁর সন্তান। কোনও ভেদাভেদ নয়, তাঁর দুই সন্তানই পদক জিতেছেন।

ক্রিকেট ম্যাচের মতোই টান টান উত্তেজনা ছিল নীরজ বনাম আর্শাদের লড়াইয়ে। একজন ভারতীয় অন্যজন পাকিস্তানের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ। আর্শাদ এবং নীরজের প্রথম দুটি থ্রো বাতিল হয়। তারপরের থ্রোতেই পদক নিশ্চিত করেন দু'জন। নাদিম থ্রো করেন ৯২.৯৭ (অলিম্পিক রেকর্ড) মিটার এবং নীরজ থ্রো করেন ৮৯.৪৫ মিটার। তৃতীয় স্থানে থাকেন গ্রানাডার অ্যান্ডারসন পিটারস। তিনি থ্রো করেন ৮৮.৫৪ মিটার।

অনেকেই পাকিস্তানী প্রতিদ্বন্দ্বির কাছে নীরজের হেরে যাওয়টা মেনে নিতে পারেননি। কিন্তু টোকিও অলিম্পিক্সে সোনা জয়ী জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজের মা সরোজ দেবী এবং পিতা ছেলের পদক জয়ে যথেষ্ট খুশি। নীরজের মা জানান, "ছেলে খুব ভালো খেলেছে। ও রুপো জেতায় আমরা খুব খুশী। আমাদের কাছে রুপোটাও সোনা জয়ের সমান। সোনা জয়ী আর্শাদ নাদিমও আমার সন্তান"।

নীরজের বাবা জানান, "আমরা খুব খুশী ছেলে পদক জিতেছে। ওর দিন ছিল না সোনা জেতার। তাই জিততে পারেনি। এটা হতেই পারে"।

অন্যদিকে রুপো জয়ের পর নীরজ জানান, অনেক পরিশ্রম করেছি। এটা ঠিক যে সোনা জিততে পারিনি। আমাদের সমস্ত অ্যাথলিটরা নিজেদের ১০০ শতাংশ দিয়ে চেষ্টা করছে জেতার। কিন্তু সবসময় যে পদক জিতবো তা হয় না। আমারও চোট ছিল। চোট একদম ঠিক করতে হবে। নিজের থ্রো আরও কীভাবে ভালো করা যায় সেদিকে নজর দিতে হবে।

নীরজ এবং আর্শাদ
Buddhadeb Bhattacharjee: 'খেলা পাগল মানুষ ছিলেন' - বুদ্ধদেবের প্রয়াণে আবেগপ্রবণ সৌরভ গাঙ্গুলি
নীরজ এবং আর্শাদ
যা চেয়েছি পেয়েছি, কখনও মিছিলে হাঁটতে হয়নি - বুদ্ধবাবুর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ময়দান

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in