যা চেয়েছি পেয়েছি, কখনও মিছিলে হাঁটতে হয়নি - বুদ্ধবাবুর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ময়দান

People's Reporter: ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানান, বুদ্ধবাবু মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে যা সাহায্য চেয়েছি পেয়েছি। আমাদের কখনও ফেরাননি উনি।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

৮০ বছর বয়সে নিজের পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে বৃহস্পতিবার সকালে প্রয়াত হন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচাৰ্য। রাজনীতির পাশাপাশি খেলাধুলাও ভালবাসতেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে খেলাধুলোর মাঠে দেখা গেছে বুদ্ধদেব ভট্টাচাৰ্যকে। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া কলকাতা ময়দানেও।

আজ পিপলস রিপোর্টারকে মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বললেন, "উনি পিছন থেকে সাহায্য করতেন। বিমান বসু, সুভাষ চক্রবর্তী মারফত ক্লাবের ভালো মন্দর খবর নিতেন। ওঁরাই ছিলেন আমাদের মাধ্যম। ওঁর মতো সৎ মানুষের মৃত্যু সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না।"

ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানান, "উনি মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়ে যা সাহায্য চেয়েছি পেয়েছি। আমাদের কখনও ফেরাননি বুদ্ধবাবু ৷ খুব যে দেখা হত তেমনটা নয়৷ আসলে তাঁর কাছে আমাদের যেতেই হত না৷ যখন যা দরকার সুভাষ দা (সুভাষ চক্রবর্তী)-কে বললেই কাজ হয়ে যেত৷ গ্যালারি গড়ার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন৷ আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক সবসময় ভাল ছিল তাঁর ৷ শুধু তাই নয়, আশিয়ান জয়ের পরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ভালো হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ৷ সেই সম্পর্ক অটুট থেকেছে শেষ পর্যন্ত ৷"

বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন সচিব জহর দাস বলেন, 'প্লেয়ায়দের যে সম্মান দিতে হবে এই রীতি বুদ্ধদেব বাবুই চালু করেন। কখনও আমাদের খালি হাতে ফেরাননি।আমাদের অলিম্পিক সংস্থা এতো বড়ো হয়েছে তাতে উনার বড়ো অবদান। ছোট খেলার নিয়মিত খোঁজ রাখতেন। সবসময় সাহায্য পেয়েছি। কখনও কিছু আমাদের উপর চাপিয়ে দিতেন না। মিছিলে হাঁটতে হবে এমন কোনোদিনই বলেননি। এমন মানুষ সত্যিই বিরল'।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
Buddhadeb Bhattacharjee: চিরতরে পাম এভিনিউয়ের দু'কামরার ফ্ল্যাট ছেড়ে গেলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
'লাল সেলাম কমরেড' - বুদ্ধবাবুর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রী মোদী, রাহুল গান্ধী, স্ট্যালিনদের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in