

অস্কার ব্রুজোন আসায় লাল-হলুদ ড্রেসিংরুমে স্বাধীনতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁর কোচিং-এ ম্যাচ জেতায় দল পুরনো ছন্দ খুঁজে পেয়েছে। মিনি ডার্বির আগে এমনটাই জানালেন ইস্টবেঙ্গলের তারকা প্লেয়ার নন্দকুমার শেখর।
গত বছর ডুরান্ড কাপে ডার্বিতে গোল করে জয় এনে দিয়েছিলেন নন্দকুমার। এরপর সুপার কাপ জয় থেকে ইস্টবেঙ্গলের বহু ম্যাচে জয়ের ত্রাতা ওড়িশার নন্দই। তবে এই মরসুমে নন্দ একদমই নিজের ছন্দে ছিলেন না। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে গোল পেয়ে নিজের ছন্দে ফেরার আভাস দেন নন্দ। আর কার্লস কুয়াদ্রাতের পরে অস্কার ব্রুজোন দলের কোচ হিসেবে আসায় দলের ফুটবলেও অনেক পরিবর্তন আসে। সত্যিই কি অস্কার আসায় ইস্টবেঙ্গলে পরিবর্তন হয়েছে?
মিনি ডার্বির আগে নন্দকুমার জানান, 'সত্যি বলতে কোচিং স্টাফ বদলে যাওয়া ফুটবলারদের জন্য সহজ নয়। কোচও প্রথম প্রথম খুব বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। কারণ দল ভালো খেলছিল না। একদিন ট্রেনিং করিয়েই নেমে পড়তে হয়েছিল ম্যাচে। সমস্যায় ছিলেন। তবে ধীরে ধীরে সব বদল হয়েছে। ড্রেসিংরুমে স্বাধীনতা এসেছে। এএফসিতে জয় আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। এবারে শুধু দরকার আইএসএল থেকে ৩ পয়েন্ট। এটা ডার্বিতে করতে পারলে এর থেকে ভালো কিছু হবে না'।
তিনি আরও বলেন, 'আমি যদি দলের জয়ে ভূমিকা রাখতে পারি এর থেকে খুশির কিছু হতে পারে না। ইস্টবেঙ্গলের মত বড় ক্লাবে খেলার সব থেকে বড় প্রেরণাই হচ্ছে সমর্থকরা। দলের খারাপ সময়েও তাঁরা পাশে থাকেন। এএফসি ম্যাচে সমর্থকরা ভুটানে পৌঁছে গিয়েছিলেন আমাদের সমর্থন করতে। এটাই অনেক বড় বিষয়। তাঁদের আবেগই আমাদের প্রেরণা দেয়। আমি ফ্যানদের বলব, আমাদের পাশে যেন তাঁরা একশো শতাংশ এইভাবেই থাকেন। আমাদের এখনও অনেক রাস্তা চলা বাকি। সমর্থকদের নিয়েই চলব। দল এএফসির ফর্ম ধরে রাখবে।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন