

মলদ্বীপের মাজিয়ার কাছে হেরে এএফসি কাপ থেকে বিদায় নিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। সোমবার মলদ্বীপ ন্যাশনাল ফুটবল স্টেডিয়ামে দুই দলেরই গ্রুপ পর্যায়ের শেষ ম্যাচ ছিল। এই ম্যাচে অবশ্য মোহনবাগান তাদের প্রথম দল নামায়নি। নিয়মরক্ষার ম্যাচের জন্যই কামিংস, আর্মান্দো, হ্যামিলদের নামানো হয়নি।
ওড়িশা এফসির কাছে ৫-২ গোলে হারের পরই মোহনবাগানের এএফসি কাপের আশা শেষ হয়ে গিয়েছিল। সোমবার নিয়মরক্ষার ম্যাচে নেমেছিল মাজিয়া এবং সবুজ মেরুন। ঘরের মাঠে ১-০ গোলে সবুজ-মেরুনকে পরাস্ত করলো মাজিয়া। মলদ্বীপের ক্লাবটির হয়ে গোল করেন হাসান রাইফ আহমেদ।
ম্যাচের প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে মাজিয়া এফসি। খেলাটা ছিল মূলত মাজিয়ার আক্রমণ বমান মোহনবাগানের রক্ষণ। পরিসংখ্যান দেখলেই তা স্পষ্ট। গোটা ম্যাচে ২৮টি শট নিয়েছে মাজিয়ার ফুটবলাররা। অন টার্গেট ১০টি। মোহনবাগান প্লেয়াররা নিয়েছে মাত্র ৯টি শট। অন টার্গেট মাত্র ২টি। বল দখলের লড়াইয়েও এগিয়ে ছিল মাজিয়া। ৯০ মিনিট পর্যন্ত ৫২ শতাংশ বল তাদের দখলে ছিল।
৪০ মিনিটে হাসানের করা গোলেই জয় পায় মাজিয়া। ৬ ম্যাচ শেষে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের একদম নীচে থেকেই এএফসি কাপ অভিযান শেষ করলো তারা। অন্যদিকে ৬ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে শেষ করলো মোহনবাগান।
ভারতীয় ক্লাব হিসেবে সবুজ মেরুনে আশা শেষ হলেও ভারতকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে ওড়িশা এফসি। ভারতীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে 'ডু অর ডাই' ম্যাচে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে নামবে তারা। এই ম্যাচে যে দল জিতবে সেই দল পরের রাউন্ডের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন