
ইতিহাস তৈরী করলো মোহনবাগান। প্রথম কোন দল হিসেবে একই মরসুমে লিগ শিল্ড আর কাপ দুটোই জিতে নিল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। এদিন ঘরের মাঠ যুবভারতীতে বেঙ্গালুরু এফসিকে ২-১ গোলে হারালো টিম বাগান। গোলদাতা দলের জোড়া ফলা অস্ট্রেলিয়ান জেসন কামিন্স আর জেমি ম্যাকলারেন।
এদিন যদিও মোহনবাগানের প্রথমদিকের ফুটবল একদমই ভালো ছিল না। ম্যাচের ১২ মিনিটে জেসন কামিন্স জোরালো শট মারলে সেটা গুরপ্রীত সেভ করে দেন। ১৯ মিনিটে হেডে প্রায় গোল করে দিচ্ছিলেন সুনীল ছেত্রী। কর্নার থেকে হেড করেন। তাঁকে মার্ক করছিলেন আশিস রাই। আশিসের থেকে ছিটকে বেরিয়ে গিয়ে হেড করেন সুনীল। তবে বিশাল কাইথ সেভ করে দেন। ২৪ মিনিটে ঠিক গোললাইনে দাঁড়িয়ে রোশন সিংয়ের বাঁক খাওয়ানো শট ধরে নেন মোহনবাগানের গোলকিপার বিশাল কাইথ। বেঙ্গালুরুর কেউ বলটা ধরতে গেলেন না। নাহলে গোল হতেই পারতো।
প্রথমার্ধ গোল শুন্য থাকার পরে সেকেন্ড হাফের ৪৯ মিনিটে আত্মঘাতী গোল হজম করে মোহনবাগান! ডানদিকে ক্রস আসে। সেটা ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের জালে বল জড়িয়ে দিলেন অ্যালবার্তো রদ্রিগেজ। তবে ৭১ মিনিটে সমতা ফেরালো মোহনবাগান। বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করেন বেঙ্গালুরুর চিংলেনসানা। পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। আর পেনাল্টি থেকে জেসন কামিন্স গোল করে যান।
ম্যাচ ১-১ ব্যবধানে শেষ হলে অতিরিক্ত সময় অবধি খেলা গড়ায়। আর তাতেই কিস্তিমাত করে মোহনবাগান। অতিরিক্ত সময়ে পাঁচ মিনিটের মাথায় মোহনবাগানকে এগিয়ে দিলেন জেমি ম্যাকলারেন। বক্সের মধ্যে বল বাড়ান গ্রেগ স্টুয়ার্ট। বেঙ্গালুরুর ডিফেন্ডার চিংলেনসানার ভুল থেকে বল পান ম্যাকলারেন। আর তাতেই গোল করে গেলেন।
যদিও এরপর আর গোল করতে পারেনি বেঙ্গালুরু। ২০১৬ সালে এটিকে-র পরে এবারে মোহনবাগানকে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন করালেন কোচ হোসে মোলিনা। এদিন আনন্দে বাঁধনহারা হয় যুবভারতীর মোহনবাগান সমর্থকরা। উড়লো আবির, জ্বলল সবুজ-মেরুন রঙ মশাল। মঙ্গলবার পয়লা বৈশাখে বারপুজোয় মোহনবাগান ক্লাবে হবে জমকালো সেলিব্রেশন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন