

আইএসএল আর ডুরান্ড কাপ জিতে ২০২৩ শুরু করলেও বছরটা ভালো ভাবে শেষ হয়নি। এএফসিতে ভরাডুবি, আর আইএসএলে মোহনবাগানের হারের হ্যাটট্রিক দলকে ছিন্নভিন্ন করেছে। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে চায় মোহনবাগান।
জানুয়ারিতে হেক্টরের জায়গায় নতুন বিদেশী চাইছে টিম বাগান। নতুন বছরে দুর্দান্ত একটা দল তৈরি করলেও মরশুমের শুরুতেই দুঃসংবাদ আসে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট শিবিরে। মরশুমের শুরুতে ভারতীয় দলের হয়ে খেলতে গিয়ে চোট পেয়ে কার্যত সারা মরশুমের জন্যই ছিটকে যান আশিক কুরুনিয়ান। এখান থেকেই বিপর্যয়ের শুরু।
আশিকের পর চোট পেয়ে যান আনোয়ার আলিও। তাঁরও দ্রুত মাঠে ফেরা অনিশ্চিত। আনোয়ার আলির অনুপস্থিতিতে দলের রক্ষণ অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে। ব্রেন্ডান হ্যামিল, হেক্টর ইউস্তে, শুভাশিস বোস, আশিস রাই-রা অবশ্য দলকে ভরসা জোগান। কিন্তু ফুল মার্কস পাননি তাঁরা।
অস্ট্রেলীয় স্ট্রাইকার পেট্রাটসও চোটের তালিকায় নাম লিখিয়েছিলেন। তবে তিনি তাঁর হ্যামস্ট্রিং সমস্যা সারিয়ে মাঠে ফিরে আসেন। জেসন কামিংস, আরমান্দো সাদিকুরা দলকে নিয়মিত গোল করে সাহায্য করতে পারেননি। এর মাঝেই মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচে লাল কার্ড দেখে আশিস রাই, হেক্টর ইউস্তে ও লিস্টন কোলাসোর সাসপেন্ড হওয়া। বছরের শেষে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে তাঁরা খেলতে পারেননি। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে প্রথম দু’জন ফিরলেও লিস্টন কোলাসো ফিরতে পারেননি।
কোচ জুয়ান ফেরান্দর কাছে এই বছরটা চ্যালেঞ্জ এর। চাকরি টিকিয়ে রাখতে হলে প্রথম চারের মধ্যে আইএসএলে থাকতে হবে। হার দিয়ে বছর শুরু হলেই চাকরি যাবে এটা একপ্রকার নিশ্চিত। তবে জুয়ান ঘুরে দাঁড়াবেন মনে করছেন বাগান সমর্থকরা। গতবারও এই জায়গা থেকে তিনি ঘুরে দাঁড়ান এবং দলকে ট্রফি দেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন