

৩ বছর বাদে কলকাতা লিগে নেমে জয় দিয়ে অভিযান শুরু করলো মোহনবাগান। বুধবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে পাঠচক্রকে ৩-১ গোলে হারালো সবুজ মেরুন ব্রিগেড।
ম্যাচের শুরু থেকে মোহনবাগানের যুব দল আক্রমণ নির্ভর খেলায় ফোকাস করে। তার ফলও পায়। ম্যাচের ১০ মিনিটে সুমিত রাঠি হেডে গোল করেন। পরে ১৯ মিনিটে গোল করেন এনসন সিং। ২ গোল পেয়ে অক্সিজেন পেয়ে যায় সবুজ মেরুন ব্রিগেড।
গোলের সুযোগ এসেছিলো একাধিক তবে তিনকাঠিতে বল ঢোকাতে ব্যর্থ হন বাগান ফুটবলাররা। প্রথমার্ধে ম্যাচের ফলাফল থাকে ২-০। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও বাগানের গোলের খরা চলতে থাকে। একের পর এক বক্সে গোল মিস করেন সবুজ মেরুন ফুটবলাররা। ম্যাচের ৮০ মিনিটের সময় পাঠচক্রর বক্সে নিশ্চিত হেড থেকে সুযোগ পেলে গোল করতে পারেননি দীপেন্দু বিশ্বাস। ইনজুরি টাইমে মোহনবাগানের তাইসন সিং গোল করেন। পাঠচক্রের হয়ে ব্যবধান কমান সুরজিৎ ঘোষ। ম্যাচ শেষ হয় ৩-১ ব্যবধানে।
মোহনবাগান মাঠে এদিন আবেগের বন্যা দেখা যায়। সবুজ মেরুন আবির এবং রঙ মশালে সমর্থকরা তাঁদের প্ৰিয় দলকে স্বাগত জানান। মোহনবাগান ফুটবলাররাও ভারতীয় ফুটবল দলের স্টাইলে 'ভাইকিং ক্ল্যাপ' করেন।
ম্যাচের পর মোহনবাগান কোচ বাস্তব রায় জানান, প্রথম ম্যাচে তিনটে গোল। আমরা খুশি। চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়ে ভাবছি না, চ্যাম্পিয়ন অনেক দূর। টালিগঞ্জ ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। ছেলেদের বলেছিলাম নিজেদের প্রমাণিত করে আইএসএলে পা বাড়াও। মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ জানাই ওরা ডেভলপমেন্ট দল নামিয়ে সুযোগ দিলো।
ম্যাচের সেরা সুমিত রাঠি জানান, 'জয় দিয়ে শুরু করলাম খুব ভালো লাগছে। মেরিনার্সদের সামনে খেলতে পারলে সবসময় ভালো লাগে।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
