

ডুরান্ড ফাইনালে ডার্বির পরে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে মোহনবাগান সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। এবার দুই পক্ষই এক হয়ে আগামী ডার্বির আগে বৈঠক ও যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে দুই ক্লাবের সমর্থকদের শান্ত থাকার বার্তা দেবেন।
মোহনবাগান সচিব জানান, "ইস্টবেঙ্গলের প্রেস কনফারেন্সটা প্রথম ডার্বি ম্যাচ জয়ের পরই করা উচিত ছিল। ওদের কার্যনির্বাহী কমিটির একজন সদস্য প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ধরনের অশালীন ভাষায় আমাকে আক্রমণ করেন যে কারণে আজ ফেসবুকে তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন। ফলে ব্যাপারটা দাঁড়াচ্ছে, এই অন্যায়টা গত মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের আগে করেছিল। ম্যাচের পরই যদি একটা প্রেস কনফারেন্স করে এই ব্যাপারে একটা বিবৃতি দিত, তাহলেই ব্যাপারটা মিটে যেত।"
তিনি আরও বলেন, "ওরা মোহনবাগান ফুটবলারদের বাসকে এবং আমাকে সকলের সামনে আক্রমণ করল, তার বিরুদ্ধেও একটা প্রতিবাদস্বরূপ ওদের একটা প্রেস কনফারেন্স করা উচিত ছিল। সেটা ওরা করল না। তবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে যদি কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় কিংবা যদি কোনও আলাপ আলোচনা হয়, তাহলে সেই আলোচনায় আমি রাজি আছি। আমার মনে হয়, পরবর্তী ডার্বি ম্যাচের আগে একটা যৌথভাবে বিবৃতি দেওয়া দরকার যেখানে বলা হবে যে সমর্থকদের মধ্যে এটা কখনই কাঙ্খিত নয়। সেটা মোহনবাগান হোক কিংবা ইস্টবেঙ্গল।"
এই বিষয়ে ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানান, "আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাচ্ছি। তবে মোহনবাগান সচিবের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে আগামী ডার্বির আগে আলোচনা করে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে রাজি। আর যেন এমন ঘটনা না ঘটে।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন