Paris Olympics 24: আরও বেশি ওজন কমালে ভীনেশের মৃত্যু হতে পারতো! চাঞ্চল্যকর দাবি কোচের

People's Reporter: উলার বলেন, ভীনেশ ওজন কমানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করেছিল। সেমিফাইনালের পর ভীনেশের ওজন ২.৭ কেজি বৃদ্ধি পেয়েছিল।
ভীনেশ ফোগাট
ভীনেশ ফোগাটছবি - সংগৃহীত
Published on

আরও ওজন কমালে মৃত্যু হতে পারতো ভীনেশ ফোগাটের! এমনই দাবি করেছেন ভারতীয় কুস্তিগীরের কোচ উলার অ্যাকোস।

১০০ গ্রাম ওজন বেশি থাকার কারণে প্যারিস অলিম্পিক্সের ৫০ কেজি কুস্তি বিভাগের ফাইনাল থেকে বাদ পড়েন ভীনেশ। যা নিয়ে তোলপাড় হয় ক্রীড়া জগত। জল গড়ায় আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত পর্যন্ত। অনেকেই দাবি করেন ভীনেশকে রুপোর পদক দেওয়া হোক। কিন্তু তা হয়নি। রাতারাতি প্রচুর পরিশ্রম করেও ওজন কমাতে ব্যর্থ হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ভীনেশ। ভর্তি করতে হয় হাসপাতালেও। সেই রাতের অভিজ্ঞতা জানালেন ভীনেশের কোচ উলা অ্যাকোস।

উলার বলেন, "ভীনেশ ওজন কমানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করেছিল। সেমিফাইনালের পর ভীনেশের ওজন ২.৭ কেজি বৃদ্ধি পেয়েছিল। সারারাত পরিশ্রম করেও ১.৫ কেজি বেশি থাকে। তারপর ৫০ মিনিট সওনা বাথ নেন ভারতীয় কুস্তিগীর। মধ্য রাত থেকে সকাল ৫.৩০ পর্যন্ত অবিরাম পরিশ্রম করেন তিনি। ওজন কমানোর জন্য সারা রাত ধরে স্কিপিং, জগিং, সাইক্লিং করেছিলেন। শরীর থেকে রক্তও বের করা হয়েছিল। চুল কেটে ফেলেছিলেন। তুলনামূলক ছোটো পোশাকও পরেছিলেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি"।

তিনি আরও জানান, "সারারাত পরিশ্রম করতে করতে বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন ভীনেশ। তখন ভয় পেয়েছিলাম। তবে অল্প সময়ের মধ্যে সামলে নিয়ে আবার ওজন কমানোর চেষ্টা শুরু করেছিল। একটা সময় তিনি না থামলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারতো। এর থেকে বেশি পরিশ্রম করা সম্ভব ছিল না"।

প্রসঙ্গত এর আগে ভীনেশ এবং তাঁর কোচের দিকে আঙুল তুলেছিলেন ভারতীয় অলিম্পিক্স কমিটির সংস্থার সভাপতি পি টি ঊষা। তিনি বলেছিলেন, "কুস্তি, ভারোত্তোলন, বক্সিং এবং জুডোর মতো খেলায় ওজন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ক্রীড়াবিদ এবং তাঁর কোচদের। এর জন্য ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার দ্বারা নিযুক্ত চিফ মেডিক্যাল অফিসার ড. পারদিওয়ালা এবং তাঁর টিমকে দায়ী করা উচিত নয়"।

ভীনেশ ফোগাট
Paris Olympics 24: কুস্তিতে ওজন বিতর্কে ভীনেশ এবং তাঁর কোচকেই দোষারোপ পি টি ঊষার!

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in