

যে কোনো প্রতিবন্ধকতাকে জয় করার সাফল্যই যেন এক অপরাজেয় আত্মবিশ্বাসপূর্ণ উপলব্ধির অধিকারী করে তোলে। আর এবার এই উপলব্ধির মুখোমুখি 'অর্কিড দ্য ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে'র ছাত্র লক্ষিত সিং।
জন্ম থেকে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার শিকার লক্ষিত। কিন্তু দীর্ঘদিনের অধ্যবসায়ের জোর ও স্কুলের সহযোগিতায় উচ্চারণ ও বাক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে বিজয়ীর শিরোপা অর্জন করতে সক্ষম হলো সে।
উত্তর ২৪ পরগনায় আয়োজিত হয় জেলা স্তরের স্কেটিং প্রতিযোগিতা। ৫–৭ বছর বয়সী অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের মধ্যে অর্কিড দ্য ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র লক্ষিত অর্জন করল রুপো। তার এই সাফল্যের পেছনে সবসময় তার স্কুলের অবদান অনস্বীকার্য। থেরাপির সঙ্গে সঙ্গে স্কুলে "পাবলিক স্পিকিং কারিকুলাম" তাদের এই ভবিষ্যতের চ্যাম্পিয়নটিকে তার উচ্চারণ ও কথা বলার সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে।
এই আত্মবিশ্বাসই লক্ষিতকে তার জয়ের পথে এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছে। ৩ বছর বয়স থেকে লক্ষিত স্কেটিং প্র্যাকটিস করছে। বলা বাহুল্য যে এই প্যাশন এবং অভ্যাসই তাকে এমন এক বিশিষ্ট জেলা স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার মতো আত্মবিশ্বাসের অধিকারী করে তুলেছে।
কেবলমাত্র অংশগ্রহণই নয়, জয়ের শিরোপা অর্জন করে তবেই ঘরের ছেলে করে ঘরে ফিরেছে। স্কেটিং ছাড়াও লক্ষিতের জিমন্যাস্টিক ও ফুটবলের প্রতি আগ্রহ রয়েছে।
লক্ষিতের মা মনিকা সিং ছেলের সাফল্যে খুবই উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন – "লক্ষিতের ওপর সবসময়ই ঈশ্বরের আশীর্বাদ রয়েছে, সেইজন্যেই ও ওর লড়াইয়ে সাফল্য অর্জন করতে পারছে"।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন