

সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের মসনদে যে তিনি বসবেন তা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে তা হলো। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হলেন কল্যাণ চৌবে।
সভাপতি পদের লড়াইয়ে ছিলেন ভারতের প্রাক্তন ফুটবল অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়াও। তবে বাংলার দুই প্রধানের হয়ে খেলে যাওয়া প্রাক্তন গোলকিপার তথা বিজেপি নেতার কাছে নির্বাচনী লড়াইয়ে দাঁড়াতেই পারলেন না বাইচুং। প্রথমবারের জন্য সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হলেন কোনো ফুটবলার।
দেশের প্রাক্তন গোলকিপার কল্যাণ চৌবের সমর্থনে বেশিরভাগ রাজ্য সংস্থাই। ভোটের আগেই বৈঠক করে রাজ্য সংস্থাগুলির সমর্থন আদায় করে নিয়েছিলেন তিনি। তাই কল্যাণের এআইএফএফ সভাপতি হওয়া প্রায় নিশ্চিতই ছিল। বাস্তবে হল ঠিক তেমনটাই। ৩৪ টি ভোটের মধ্যে ৩৩ টি ভোট পেয়ে জয়ী হলেন কল্যাণ চৌবে। পাহাড়ি বিছে নামে খ্যাত বাইচুং পেলেন মাত্র একটি ভোট। ১৩ বছর পর ভারতীয় ফুটবল পেল নতুন প্রেসিডেন্টকে।
এআইএফএফ-এর ৮৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ফুটবলার মসনদের সর্বোচ্চ আসনে বসলেন। প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির পর আবারও এক বাঙালিকে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের শীর্ষ পদে। ফেডারেশনের সহ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কর্নাটক রাজ্য সংস্থার সভাপতি এনএ হারিস। কোষাধক্ষ্য নির্বাচিত হয়েছেন কিপা অজয়।
ভারতীয় ফুটবলে বাইচুং এক কিংবদন্তী। তবে ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি পদের লড়াইয়ে কার্যত গোহারান হেরে বসলেন। যদিও বাইচুং ঘনিষ্ঠদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের পরোক্ষ সহযোগিতাতেই নির্বাচনে জয়ী কল্যাণ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন