

ঘোষিত হল হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগ ২০২২-২৩ সালের ফাইনাল ম্যাচের ভেন্যু। চলতি মরশুমে গোয়াতে হবে আইএসএলের শেষ ম্যাচ। আর এই ম্যাচ ভেন্যু নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন ফুটবল সমর্থকদের একাংশ।
কলকাতা বা মুম্বইতে নয়। চলতি মরশুমের খেতাবি ম্যাচ ১৮ মার্চ শনিবার গোয়ার পন্ডিত জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। সোমবারই এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঘোষণার আগে সূত্র মারফত ভেসে আসছিল ভেন্যু হিসেবে গোয়ার নাম। সেটাই সত্যি হল। কর্তৃপক্ষের দাবি, গোয়াতে অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্ত মাঠ রয়েছে। অত্যাধুনিক পরিকাঠামোও রয়েছে। ফলে ফুটবলারদের কোনো অসুবিধা হবে না।
কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ কলকাতা, কেরালা ও মুম্বইয়ের ফুটবল সমর্থকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ লিখেছেন, এই সিদ্ধান্ত আইএসএল ম্যানেজমেন্টের ঔদ্ধত্য। তাঁরা জানেন যে যে কেরালা, মুম্বাই বা এটিকে মোহনবাগানের ফুটবল ভক্তরা ওই স্টেডিয়ামে পৌঁছাতে পারবে না। তাও কেন ফাইনাল ম্যাচ গোয়াতে দেওয়া হল? আবার কেউ লেখেন, এই সিদ্ধান্ত একদম বাজে। যুবভারতীর মতো স্টেডিয়াম থাকতেও কলকাতা ফাইনাল ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পেল না! এটা মেনে নেওয়া যায় না।
ফাইনালের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ফাইনালের জন্য গোয়াতে ফুটবল কার্নিভাল হবে। ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন ফুটবলার থেকে শুরু করে তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও অংশ নিতে পারবেন। ফাইনালের দিন ম্যাচ ছাড়াও স্টেডিয়ামে দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে। ফাইনালের টিকিট ফুটবলপ্রেমীরা অনলাইনে বুক করতে পারবেন। BookMyShow.com-তে ৫ মার্চ থেকে শুরু হবে টিকিট বুকিং-র প্রক্রিয়া।
উল্লেখ্য, রবিবারই লিগ শিল্ড জিতেছে মুম্বই সিটি এফসি। নতুন নিয়ম অনুযায়ী মোট ৬টি দল প্লে অফের সুযোগ পাবে। ইতিমধ্যেই মুম্বই এবং হায়দরাবাদ সরাসরি সেমিফাইনালের জন্য কোয়ালিফাই করেছে। প্লে অফের জন্য কোয়ালিফাই করেছে এটিকে মোহনবাগান, বেঙ্গালুরু এফসি এবং কেরালা ব্লাস্টার্স। ওড়িশা এফসি বা এফসি গোয়ার মধ্যে একটি দল কোয়ালিফাই করবে। দুই দলকে কোয়ালিফাই করতে গেলে শেষ ম্যাচ জিততেই হবে। প্লে-অফের ম্যাচ শুরু হবে ৩ মার্চ থেকে। প্রথমে দু’টি নক আউট, তারপর সেমিফাইনালের মধ্য দিয়ে ১৮ মার্চ ফাইনাল হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন