বর্ণবিদ্বেষের শিকার হিউং-মিন সন, নিন্দনীয় ঘটনায় পদক্ষেপের দাবি টটেনহ্যাম কর্তৃপক্ষের
ফের ফুটবলে বর্ণবাদী আক্রমণ। এবার শিকার হলেন টটেনহ্যাম হটস্পারের তারকা ফুটবলার হিউং-মিন সন। রবিবার ওয়েস্টহ্যামের বিপক্ষে গোল করার পর নেট মাধ্যমে বর্ণবাদী আক্রমণের শিকার হন দক্ষিণ কোরিয়ার অধিনায়ক। এই ঘটনার পরেই সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি এবং কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে টটেনহ্যাম কর্তৃপক্ষ।
টটেনহ্যাম রবিবার রাতে ক্লাবের অফিসিয়াল টুইটার ফিডে বলেছে, "আজকের ম্যাচের সময় সন হিউং-মিনের ওপর নিন্দনীয় অনলাইন বর্ণবাদী অপব্যবহার সম্পর্কে আমরা সচেতন। আমরা সনের সাথে দাঁড়িয়েছি এবং সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি ও কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।"
ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনও ক্লাবের পাশে দাঁড়িয়েছে। এফএ-এর একজন মুখপাত্র টটেনহ্যামের টুইটের জবাবে বলেছেন, "আমরা আজ সন্ধ্যায় সন হিউং-মিনের লক্ষ্যে বর্ণবাদী অপব্যবহারের তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের খেলায় এর (বর্ণবাদের) কোন স্থান নেই এবং আমরা কর্তৃপক্ষ এবং সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে এটি মোকাবিলা করার জন্য সম্ভাব্য শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে সম্পূর্ণ সমর্থন করি।"
এই প্রথমবার নয়। এর আগেও বর্ণবাদের শিকার হয়েছেন ৩০ বর্ষীয় কোরিয়ান মহাতারকা। ২০২২ সালের জুনে, ট্যুইটারে সনকে জাতিগতভাবে গালিগালাজ করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয় ১২ জনের একটি দলকে। তাঁরা সনের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। এছাড়াও ১১ এপ্রিল, ২০২১-এ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হোম ম্যাচে ৩-১ গোলে পরাজয়ের পরে টটেনহ্যাম ক্লাবের কর্মকর্তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় "ঘৃণ্য বর্ণবাদী অপব্যবহারের" অভিযোগ করেছিলেন। ২০২২ সালের আগস্টে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের ম্যাচে সনকে বর্ণবাদী আক্রমণ করায় এক সিজন টিকিটধারীকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল চেলসি।
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

