
বয়স যে কেবল সংখ্যা মাত্র তা ফের একবার প্রমাণ করলেন সুনীল ছেত্রী। রবিবার আইএসএল সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে অসাধারণ হেডে গোল করে বেঙ্গালুরুকে ফাইনালে তুললেন সুনীল। যা দেখে খুশি ভক্তরা।
ভারতীয় কোচের কথায় অবসর ভেঙে তাঁর জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ম্যাচে বার বার বিপক্ষ ডিফেন্ডারের কাছে আটকে যাওয়াতেও সমালোচনা হয়েছিল সুনীলকে নিয়ে। তবে ক্লাব ফুটবল থেকে অবসর নেননি তিনি। ভারত অধিনায়ক জানিয়েছিলেন, 'যতদিন শরীর খেলার অনুমতি দেবে ততদিন খেলে যাব'। রবিবার ফের একবার তিনি প্রমাণ করলেন কেন তিনি ভারতের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার।
প্রথম লেগে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জিতেছিল বেঙ্গালুরু। রবিবার সেই ব্যবধান ধরে রাখলেই আইএসএল ফাইনালে যোগ্যতা অর্জন করত বেঙ্গালুরু। কিন্তু গোয়ার কাছে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েন সুনীলরা। ৪৯ মিনিটে বোরহা হেরেরা এবং ৮৮ মিনিটে গোল করেন আরমান্দো সাদিকু। ম্যাচের ইনজুরি টাইমে ৯০+২ মিনিটে নিজের শরীরকে ছুঁড়ে দিয়ে হেডে অসাধারণ গোল করেন সুনীল। খেলার ফলাফল হয় ২-১। ফলে দুটি লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে জয়ী হয় বেঙ্গালুরু এফসি। চলতি আইএসএল-এ এই নিয়ে মোট ১৪টি গোল করলেন সুনীল (দ্বিতীয় স্থানে আছেন)।
৪০ বছর বয়সী সুনীল যে গোল করতে এখনও সমান দক্ষ তা বুঝিয়ে দিলেন। তাঁকে নিয়ে সমাজমাধ্যমে ভক্তদের উন্মাদনা তুঙ্গে। একজন লেখেন, 'বাহ! সুনীল ছেত্রী গোল করে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট বাঁচিয়ে দিলেন।' এক বেঙ্গালুরু সমর্থক লেখেন, 'সেরার সেরা তিনি। এটা তাঁরই পৃথিবী যার মধ্যে আমরা আছি। আমাদেরকে ফের একবার ফাইনালে তুললেন তিনি।'
ম্যাচ শেষে বেঙ্গালুরু কোচ জেরাড জারাগোজা বলেন, "ছেত্রীর মতো দ্বিতীয় কেউ নেই। আমি মজা করে একটি কথা প্রায়ই বলি, সে ৫০ বছর হয়ে গেলেও এই সব কাজ করে যাবে। আমাদের দলে তাঁর মতো একজন খেলোয়াড় থাকায় সত্যিই আমরা গর্বিত"।
দলকে ফাইনালে তুলে সুনীল জানান, "ম্যাচ জিততে পেরে আমরা খুব খুশি। বিশেষ করে ম্যাচ জিতি আমরা দর্শকদের জন্য। তাঁরাই সবকিছু আমাদের"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন