
জামশেদপুরের পরে চেন্নাই ম্যাচও ড্র করল মোহনবাগান। যদিও লিগ শিল্ড জয়ে বাকিদের থেকে অনেকটা এগিয়ে টিম বাগান। ১৭ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষে তারাই। মঙ্গলবার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে চেন্নাই এফসির বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে মোহনবাগান। ফলে পরপর দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট খোয়ালো টিম বাগান, যা লিগের শেষ পর্যায়ে তাদের চাপে ফেলতে পারে।
প্রথম দলের চার খেলোয়াড়কে রিজার্ভ বেঞ্চে রেখে এ দিন দল নামানোর সিদ্ধান্ত নেন মোহনবাগান কোচ হোসে মোলিনা। এদিন ম্যাচের পরে মোলিনা বললেন “জামশেদপুর ম্যাচের পর খেলোয়াড়দের রিকভারির জন্য বেশি সময় ছিল না। তাই আজ এই দলটাই আমার হাতে থাকা সেরা এগারো মনে হয়েছিল। আমার মনে হয় ব্যাপারটা কার্যকরী হয়েছে। প্রথমার্ধে চেন্নাইনকে আমরা সে ভাবে খেলতেই দিইনি। তবে আমাদের ফাইনাল পাস, ফিনিশিং, এগুলো গোল করার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না।‘’
তিনি বলেন, ”আমরা আজ প্রতিপক্ষের চেয়ে সব দিক থেকে এগিয়ে ছিলাম। ম্যাচের শেষ দিকে আমাদের প্রথম দলের খেলোয়াড়দের নামাই এবং গোলের সুযোগও পাই। কিন্তু ওরাও গোল করতে পারেনি। চেন্নাইন শক্তিশালী দল, আগ্রাসী ফুটবল খেলে। এটা ঠিকই যে এই ম্যাচ থেকে আমরা তিন পয়েন্ট পাব আশা করেছিলাম। কিন্তু এক পয়েন্ট তো পেয়েছি”।
এই পয়েন্ট খোয়ানো তে আগামী লড়াই যে কঠিন হল, তা মানছেন বাগান-কোচ। তিনি বলেন, “এটা ঠিকই যে শেষ দুই ম্যাচে আমরা ছয় পয়েন্ট পেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পেয়েছি মাত্র দু’পয়েন্ট। তাই আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। লিগ জেতা তো মোটেই সোজা কাজ নয়। অনেক পরিশ্রম করতে হয়। তাও আমরা দুই নম্বর দলের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে আছি এখনও। আমাদের লিগের শেষ পর্যন্ত লড়তেই হবে।‘’
‘’সব ম্যাচেই গোল করতে চাই আমরা। শেষ দু’ম্যাচে আমরা বেশি গোল করতে পারিনি ঠিকই। তবে দলের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। চেন্নাইন আজ ভাল ডিফেন্স করেছে। তাও আমরা আজ গোলের সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু শেষ মুহূর্তের ভুলে গোল পাইনি। শেষ দুটো ম্যাচ মোটেই সহজ ছিল না। তবে দল ভালই পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। আমাদের আরও পরিশ্রম করে যেতে হবে’’, বলেন বাগান কোচ।
আর মোহনবাগানের প্রাক্তন অধিনায়ক প্রীতম কোটাল, যিনি সদ্য কেরালা ব্লাস্টার্স ছেড়ে গতকালই চেন্নাইনের হয়ে প্রথম মাঠে নামেন, তাঁর মুখেও মোহনবাগানের প্রশংসা। বলেন, “লিগ যত এগোবে, ততই সবার লড়াই কঠিন হবে। তবে মোহনবাগানের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কারণ, ওদের দলের খেলোয়াড়দের প্রায় প্রত্যেকেরই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মানসিকতা রয়েছে। প্রত্যেক খেলোয়াড়ই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। গত দু’দিন ধরে আমি ওদের খেলা ভাল করে দেখেছি এবং আমাদের খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলেছি। পরিকল্পনা করেছি। লিস্টন, মনবীর শেষ দিকে এসে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারত। সে জন্য আজকের মতোই প্রতি ম্যাচে আমাদের ৯০ মিনিট পর্যন্ত সমান ভাবে খেলতে হবে, এটাই বলেছিলাম সবাইকে”।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন