

ঘরের মাঠে ওড়িশা এফসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ভারতসেরা হয়েছে মোহনবাগান। আর একমাত্র গোলটি আসে বাগানের তুরুপের তাস দিমিত্রির পা থেকে। সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটালেন গোটা মরসুমে 'ছন্দহীন' থাকা দিমি। ম্যাচ জিতেই সমর্থকদের ধন্যবাদ জানালেন তিনি।
ম্যাচ শেষে দিমিত্রি বলেন, "যখন মাঠে নামি, তখন সমর্থকদের কাছ থেকে শক্তি পাই। গোল করার কথা ভাবিনি। দলকে কীভাবে জেতাব, সেটাই ভাবছিলাম। বেশি ভাবিনি, শুধুই খেলেছি। কখন মাঠে নেমেছি, খেয়াল ছিল না। তবে এটা মাথায় ছিল যে, এক মিনিট পেলেও তাকে কাজে লাগাতে হবে।''
তিনি আরও বলেন, "ফুটবলে ওঠা পড়া থাকেই। যেমন জীবনে থাকে। আমি প্রতি ম্যাচেই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে এই গোলটার জন্য দলের সবাইকে কৃতিত্ব দিতে চাই। পুরো ৯০ মিনিট ধরে ওরা লড়াই করেছে। সারা মরসুমেই আমরা একসঙ্গে পরিশ্রম করেছি"।
এই গোলকে তাঁর জীবনের সেরা তিনের মধ্যে রাখতে চান দিমি। তারকা ফুটবলার বলেন, "এই গোলটা অবশ্যই সেরা তিনটের মধ্যে থাকবে। এমন একটা পরিস্থিতিতে গোলটা এল সে জন্য। এই গোলটা সমর্থকদের ও আমার সতীর্থদের উৎসর্গ করতে চাই। এছাড়াও আমার পরিবারের সদস্য, বাবা-মা, ভাই, স্ত্রী-সন্তান এবং আমার দাদু-দিদাকে উৎসর্গ করতে চাই। দাদু তো বলেই যেতেন, কেন গোল পাচ্ছ না, চেষ্টা করে যাও। সেটাই করে গিয়েছি।''
এছাড়া দিমি জানান, ''গত দু’মাস আমি কতক্ষণই বা মাঠে থাকার সুযোগ পেয়েছি? হালকা চোটও ছিল। কিন্তু এ তো আমাদের জীবনের অঙ্গ। তবে গত দু’মাসে আমি ব্যর্থ হইনি। কারণ, একমাত্র থেমে যাওয়াটাই ব্যর্থতা। কখনও হাল ছাড়িনি। তারই ফল পেলাম"।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন