

বাংলার ক্রিকেটারদের কলকাতা নাইট রাইডার্স তাদের দলে সুযোগ দেয় না, এমন অভিযোগ বহুদিনের। যদিও বাংলার প্লেয়াররা অন্যান্য দলে খেলেন এবং ভালো পারফরমেন্সও করেন। তার জ্বলন্ত উদাহরণ শাহবাজ আহমেদ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ দলে খেলছেন তিনি এখন।
বাংলা ক্রিকেটকে গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সময়ে ব্যাট ও বল হাতে খাদের কিনারা থেকে বের করে এনেছেন শাহবাজ। ২০১৯-২০ আর ২০২২-২৩ মরসুমে রঞ্জি ফাইনাল খেলে বাংলা। তার বড়ো কান্ডারি ছিলেন শাহবাজই। শুক্রবারও যেমন চেন্নাইয়ে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে কোয়ালিফায়ার টু তে শাহবাজ ম্যাজিক দেখা গেল। ব্যাট হাতে ১৮ রান করলেও বল হাতে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন। তাঁর শিকারের তালিকায় ছিলেন যশস্বী জয়শওয়াল, রিয়ান পরাগ আর রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মূল্যবান উইকেট। ম্যাচের সেরাও হন তিনি।
বাংলার এই অলরাউন্ডারই কিন্তু স্পিন সহায়ক চিপকে কলকাতার বড়ো কাঁটা হয়ে উঠতে পারেন। কেকেআর মিডল অর্ডারের স্পিন বোলিংয়ের প্রতি দুর্বল তা সকলেই জানে। সেই কারণে শাহবাজ বড়ো ফ্যাক্টর।
ফাইনালে উঠে শাহবাজ বলেন, ‘অধিনায়ক ও কোচ আমাকে বলেছিলেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা তোমাকে ব্যবহার করব। লোয়ার-অর্ডারে ব্যাটিং করা আমার দায়িত্ব ছিল। আমি যখন ব্যাটিং করছিলাম তখন আমার মনে হয়েছিল উইকেট থেকে সাহায্য পাওয়া যেতে পারে। আবেশ (খান) ও সন্দীপ (শর্মা) যেভাবে বোলিং করেছে, তাতে ওরা দেখিয়ে দিয়েছে, উইকেট থেকে সাহায্য পাওয়া যেতে পারে।
ফাইনালে কেকেআরের বিরুদ্ধে খেলা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, 'ওদের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে আমরা আইপিএল শুরু করি। ওরাও প্রথম ম্যাচ আমাদের বিরুদ্ধেই খেলে। আমরা দুটো দলই একে অন্যের শক্তি, দুর্বলতা দুটো দিকই জানি। কেকেআর খুবই শক্তিশালী দল। তবে আমরা চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছি। আশা করছি নিজেদের সেরাটা দিতে পারব।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন