

ওয়াংখেড়েতে গতকাল ব্যাটে বলে সমানে দাপট দেখালেন আফগান তারকা রশিদ খান। বল হাতে ৪ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে মাত্র ৩২ বলে অপরাজিত ৭৯* রানের অতিমানবীয় ইনিংস খেলেন রশিদ। হার্দিকের কথায়, গুজরাটের হয়ে গতকাল একাই খেলেছেন রশিদ খান। যদিও, একা রশিদের এই দুর্দান্ত ইনিংস গুজরাটকে জয় এনে দিতে পারেনি। তবে আরব সাগরের তীরে চার উইকেট নিয়ে গতকাল পার্পল ক্যাপ দখল করে নিয়েছেন তিনি। আর ব্যাট হাতে রান তাড়া করতে নেমে দশটি ছক্কা মেরে নজির গড়েছেন আফগান তারকা। ভাগ বসিয়েছেন গিলক্রিস্ট, পোলার্ডের রেকর্ডে।
আইপিএলে রান তাড়া করতে নেমে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার রেকর্ড রয়েছে শ্রীলঙ্কান গ্রেট সনৎ জয়সূর্যর দখলে। ২০০৮ সালে আইপিএলের উদ্বোধনী মরশুমে মুম্বইয়ের হয়ে রান তাড়া করতে নেমে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ১১ টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন বিশ্বকাপজয়ী শ্রীলঙ্কান তারকা। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে এতদিন পর্যন্ত ছিল যুগ্মভাবে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট এবং কায়রন পোলার্ড। ২০০৮ সালে ডেকান চার্জার্সের হয়ে খেলার সময় মুম্বইয়ের বিপক্ষে রান তাড়া করতে নেমে ১০ টি ছক্কা মেরেছিলেন গিলক্রিস্ট। ওই ম্যাচে ১০৯ রান করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান উইকেট কিপার ব্যাটার। আর ২০১৯ সালে কায়রন পোলার্ড মুম্বইয়ের হয়ে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচে হাঁকান ১০টি ছয়। আইপিএলে রান তাড়া করতে নেমে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার এলিট ক্লাবে এবার গিলক্রিস্ট এবং পোলার্ডের রেকর্ডে ভাগ বসালেন রশিদ।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়াম লীগে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ছয় মারার রেকর্ড অবশ্য ইউনিভার্সাল বস ক্রিস গেইলের দখলে। ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে অপরাজিত ১৭৫ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস খেলেছিলেন গেইল। চিন্নাস্বামীতে ওই ম্যাচে ১৭ টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কিউই সুপারস্টার ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম। ২০০৮ সালে আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে আরসিবির বিপক্ষে ১৫৮* রান করেছিলেন ম্যাককুলাম। ওই ম্যাচে ১৩ টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের এই প্রাক্তন বিধ্বংসী ওপেনার। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানেও রয়েছেন ক্রিস গেইল। ২০১২ সালে ফিরোজ শাহ কোটলায় দিল্লির বিপক্ষে ১৩ টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা। এছাড়াও আইপিএলের এক ইনিংসে ১২ টি ছক্কাও মেরেছেন ক্রিস গেইল। প্রোটিয়া তারকা এবি ডিভিলিয়ার্সও পাঞ্জাবের বিপক্ষে ২০১৫ সালে এক ইনিংসে ১২ টি ছক্কা মেরেছিলেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন