
দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালালেন নাইট রাইডার্সের বোলাররা। মাত্র ১২৮ রান আটকাতে নেমে বল হাতে অনবদ্য প্রদর্শন করলেন উমেশ যাদব, টিম সাউদি, সুনীল নারিনরা। তবে শেষ রক্ষা হলো না। শেষ ওভারে আন্দ্রে রাসেলকে প্রথম দু'বলে যথাক্রমে ছয় ও চার মেরে আরসিবিকে কষ্টার্জিত জয় এনে দেন কেকেআরের প্রাক্তন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। নাইটদের বিরুদ্ধে ৩ উইকেটে রোমহর্ষক এই ম্যাচ জিতে নেয় ফাফ ডু প্লেসির দল।
এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে কেকেআরকে ব্যাট করতে পাঠায় আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। আকাশ দীপ ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার আক্রমণে শুরু থেকেই একে একে নাইটরা সাজঘরে ফিরতে থাকেন। দশ ওভারের আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারাতে গিয়ে পৌঁছায় কলকাতা। এদিন নির্ধারিত ২০ ওভারই খেলতে পারলো না শ্রেয়সের দল। ১৯ তম ওভারেই অল আউট হয়ে যায়।
কলকাতার হয়ে এই ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন আন্দ্রে রাসেল। ১৮ বলে ২৫ রান করেন তিনি। দুই ওপেনারের মধ্যে রাহানে করেন ৯ রান এবং ভেঙ্কটেশ ১০ রান। অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার ফিরে যান ১৩ রান করে। নীতিশ রানা(১০), সুনীল নারিন(১২), স্যাম বিলিংস(১৪), সেলডন জ্যাকসনরাও (০) চূড়ান্ত ব্যর্থ হন। শেষের দিকে উমেশ যাদব(১৮) ও বরুণ চক্রবর্তীর(১০*) গুরুত্বপূর্ণ রানে ভর করে সম্মানজনক ১২৮ রান সংগ্রহ করতে পারে নাইটরা।
আরসিবির হয়ে এই ম্যাচে বল হাতে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। এছাড়াও ৩ টি উইকেট নিয়েছেন বাংলার আকাশ দীপ। ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে জোড়া উইকেট নিয়েছেন হার্শাল প্যাটেল। একটি উইকেট এসেছে মহম্মদ সিরাজের খাতাতেও।
লো স্কোরিং ম্যাচে যতোটা সহজ ভাবে আরসিবি জয় অর্জন করবে বলে ভেবেছিলো, তেমনটা হয়নি। তার কারণ সেই উমেশ যাদব। গত ম্যাচের মতো এদিনও শুরুতেই আগুন ঝরান তিনি। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই রানের খাতা না খুলতে দিয়েই অনুজ রাওয়াতকে ফেরান উমেশ। দ্বিতীয় ওভারে অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিকে(৭) ফিরিয়ে দেন সাউদি। তৃতীয় ওভারে বিরাট কোহলি (১২) ফিরে যান উমেশের শিকার হয়ে। তৃতীয় ওভারের শুরুতেই মাত্র ১৭ রানে ৩ মহামূল্যবান উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে আরসিবি। এরপর মাত্র ১২৯ রানের লক্ষ্যই পাহাড় প্রমাণ হয়ে দাঁড়াতে থাকে।
মিডিল অর্ডারে ডেভিড উইলি(১৮) এবং শাহবাজ আহমেদ(২৭) ভালো ইনিংস খেললেও দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যেতে পারেননি। আরসিবির হয়ে এদিন বুক চিতিয়ে লড়াই চালিয়ে যান শেরফানে রাদারফোর্ড। তবে দলগত স্কোর ১০৭ রানের মাথায় ১৮ তম ওভারে রাদারফোর্ড ফিরে যাওয়ার পর কলকাতা চিন্তায় ফেলে আরসিবিকে। ওই ওভারেই আবার ফিরে যান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। টান টান উত্তেজনার ১৯ তম ওভারে হার্শাল প্যাটেলের দুটি বাউন্ডারিই বদলে দেয় ম্যাচের ছবি। শেষ ওভারের প্রথম দু'বলেই জয় তুলে নেয় আরসিবি।
কলকাতার হয়ে এই ম্যাচে ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ৩ টি উইকেট তুলে নেন টিম সাউদি। ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে জোড়া উইকেট নিয়েছেন উমেশ যাদব। এছাড়াও ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়েছেন সুনীল নারিন। বরুণ চক্রবর্তী নিয়েছেন একটি উইকেট।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন