
মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে ব্যাট হাতে বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন অজি তারকা প্যাট কামিন্স। স্বদেশীয় ড্যানিয়েল স্যামস, জসপ্রীত বুমরাহ, টাইমাল মিলসদের বিরুদ্ধে ঝড় তুললেন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের অধিনায়ক। মাত্র ১৪ বলে অর্ধ শতরান করে আইপিএলের ইতিহাসে লোকেশ রাহুলের সাথে যৌথ ভাবে দ্রুততম ফিফটির মালিক হলেন অজি পেসার। ৪ টি বাউন্ডারি এবং ৬ টি বিশাল ওভার বাউন্ডারির মাধ্যমে মাত্র ১৫ বলে ৫৬* রানে অপরাজিত থাকেন কামিন্স। তাঁর এই ঝড়ো ইনিংসের দৌলতে চার ওভার হাতে রেখেই মুম্বইয়ের দেওয়া ১৬২ রানের লক্ষ্য মাত্রা ছুঁয়ে ফেলে নাইটরা।
রোহিত শর্মা(৩) দ্রুত ফিরে যাওয়ার পর ইশান কিষাণ এবং 'বেবি এবি' খ্যাত ডেওয়াল্ড ব্রেভিস রান বাড়ানোর চেষ্টা করেন। ব্রেভিস ১৯ বলে ২৯ রান করলেও ইশান ২১ বল খেলে মাত্র ১৪ রান করে আউট হয়ে ফিরে যান। এরপর সূর্যকুমার যাদব-তিলক ভার্মার ৮৩ রানের জুটির পর কাইরন পোলার্ডের ৫ বলে ২২* রানের ক্যামিওতে কলকাতার সামনে ১৬২ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় মুম্বই। সূর্যকুমার যাদব ৩৬ বলে ৫২ রান করেন এবং তিলক ভার্মা ২৭ বলে ৩৮* রানে অপরাজিত থাকেন।
মুম্বইয়ের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে পরপর উইকেট হারিয়ে বেশ চাপের মুখে পড়তে হয় কেকেআরকে। ভেঙ্কটেশ আইয়ার দাঁড়িয়ে থাকলেও একে একে আজিঙ্কে রাহানে(৭), শ্রেয়স আইয়ার(১০), স্যাম বিলিংস(১৭), নীতিশ রানা(৮), আন্দ্রে রাসেলরা(১১) ফিরে যান। ১০১ রানেই নাইটরা পাঁচ উইকেট হারিয়ে কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়ে। তবে এরপর যা ঘটেছে তার বর্ণনা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।
রাসেল আউট হয়ে ফিরে যাওয়ার পর বাইশ গজে নামেন নাইটদের হয়ে চলতি আইপিএলে প্রথম ম্যাচে খেলতে নামা প্যাট কামিন্স। মুম্বইয়ের বিপক্ষে বরাবরই কামিন্সের ব্যাট ঝলসে উঠেছে। এই ম্যাচের আগে শেষ দু বারের সাক্ষাৎকারে মুম্বইয়ের বিপক্ষে কামিন্সের স্কোর ৩৩(১২), ৫৩(৩৬)। এই ম্যাচে দলের কঠিন পরিস্থিতিতে প্রথম বল থেকেই ত্রাতার ভূমিকা নেন কামিন্স। মাত্র ১৫ বলে ৫৬* রানে অপরাজিত থেকে চার ওভার হাতে রেখেই দলকে এনে দেন জয়। সেইসঙ্গে ভেঙ্কটেশ আইয়ার ৪১ বলে ৫০* রানে অপরাজিত থেকে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন