ডোপিং-এর দায়ে কড়া শাস্তি, ২১ মাস নির্বাসিত ভারতের তারকা জিমন্যাস্ট!

দীপার নমুনায় পাওয়া গিয়েছে নিষিদ্ধ হিগেনামাইন। এই পদার্থটিকে ২০১৭ সালে নিষিদ্ধ পদার্থের তালিকায় রাখা হয়েছে। এই ড্রাগটি অ্যান্টি-অ্যাজমাটিক হিসেবে কাজ করতে পারে।
দীপা কর্মকার
দীপা কর্মকারছবি - দীপা কর্মকারের ফেসবুক পেজ
Published on

২০১৬ সালে রিও অলিম্পিক্সের মঞ্চে প্রদুনোভা ভল্টের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন ফেলেছিলেন ভারতীয় জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার। সিমোনে বাইলস, মারিয়া পাসেকা এবং গিউলিয়া স্টিনরবারের মতো সেরা জিমন্যাস্টদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করে শেষ করেছিলেন চতুর্থ স্থানে। আসিন্ধু হিমাচল প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিল দীপার। তবে ভারতের এই তারকা জিমন্যাস্টের গায়ে লাগলো ডোপিং কলঙ্ক। নিষিদ্ধ পদার্থ সেবন করায় ২১ মাস নির্বাসিত করা হল তাঁকে। শুক্রবার ইন্টারন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (ITA) এবিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

গত বছর মার্চ মাসে হঠাৎ করেই তাঁর নির্বাসনের খবর সামনে আসে। সেই সময়ে কারণ জানা যায়নি। তবে এবার সেই কারণ স্পষ্ট হয়েছে। দীপার নমুনায় পাওয়া গিয়েছে নিষিদ্ধ হিগেনামাইন। এই পদার্থটিকে ২০১৭ সালে নিষিদ্ধ পদার্থের তালিকায় রাখা হয়েছে। এই ড্রাগটি অ্যান্টি-অ্যাজমাটিক হিসেবে কাজ করতে পারে। পাশাপাশি এটি কার্ডিওটনিকও হতে পারে।

২০২১ সালের ১১ অক্টোবর ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল ডি জিমন্যাস্টিকের (এফআইজি) পক্ষ থেকে ইতিবাচক নমুনা সংগ্রহ করেছিল। এরপর থেকে দীপার যাবতীয় সাফল্যকে বাতিল করা হয়েছে। গত বছরের মার্চে তাঁকে সাসপেন্ড করার খবর সামনে আসার পর বেশ জল্পনা শুরু হয়। দীপার পাশাপাশি অবাক হয়েছিলেন কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দীও। এখন আন্তর্জাতিক টেস্টিং এজেন্সি (ITA) শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছে ২০২৩-এর ১০ জুলাই পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।

টোকিও অলিম্পিক্সে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছিলেন দীপা। ২০১৪ সালে গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন তিনি। এছাড়াও এশিয়ান জিমন্যাস্টিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন। সম্প্রতি বাকুতে এফআইজি বিশ্বকাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। যদিও ভল্টের ফাইনালে জায়গা করে নিতে পারেননি তিনি।

দীপা কর্মকার
Lionel Messi: 'ক্যারিয়ারের শেষে বার্সেলোনাতেই ফিরব' - মেসি

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in