

পিকে বন্দোপাধ্যায় এবং চুনী গোস্বামী আগেই চলে গিয়েছেন। আজ প্রয়াত হলেন তাঁদের সতীর্থ তুলসীদাস বলরাম। বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো পাঁচ মিনিটে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ভারতের এই কিংবদন্তী স্ট্রাইকার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
এশিয়ান গেমসের স্বর্ণপদক বিজয়ী ফুটবলার তুলসীদাস বলরাম গত ২৬ শে ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে মূত্রনালী ও পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসা চললেও তাঁর অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। অবশেষে আজ দুপুরে প্রয়াত হন অলিম্পিয়ান তুলসীদাস।
১৯৫৬ সালে সন্তোষ ট্রফি কাঁপানো বলরাম ১৯৫৬ সালের মেলবোর্ন অলিম্পিক্সে ভারতীয় দলে জায়গা করে নেন। সাড়া জাগানো এই ফুটবলার এবার যোগ দেন ইস্টবেঙ্গলে। ময়দানে দাপটের সঙ্গে খেলে লাল হলুদদের জার্সিতে করেছেন ১০০-এরও বেশি গোল।
১৯৬২ সালের জাকার্তা এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছিল ভারত। সেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন বলরাম। ৬০ এর দশকে ভারতীয় ফুটবলের সোনালী প্রজন্মের ফুটবলার ছিলেন তিনি। পিকে বন্দোপাধ্যায়, চুনী গোস্বামী ও বলরাম ত্রয়ী পরিচিত ছিলেন 'হোলি ট্রিনিটি' নামে।
অর্জুন পুরস্কার জয়ী তুলসীদাস রোম অলিম্পিক্সেও বিশ্বের মঞ্চে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন। হাঙ্গেরি, ফ্রান্স এবং পেরুর সাথে 'গ্রুপ অফ ডেথ'-এ থাকা ভারত প্রথম ম্যাচে হাঙ্গেরির কাছে ২-১ গোলে হারলেও ৭৯ মিনিটে তুলসীদাসের গোল ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন