বিশ্ব হৃদয় জিতলেও বিশ্বকাপ জিততে পারলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এই প্রজন্মের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফুটবলারের বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হলো চোখে জল নিয়েই। মরক্কোর কাছে পর্তুগালের হারের সাথে সাথেই আন্তর্জাতিক ফুটবলে রোনাল্ডোর অধ্যায়ও কার্যত শেষ হয়ে গেলো।
রোনাল্ডোর বিদায়ে তাঁর কোটি কোটি ভক্তের মন খারাপ। তবে রোনাল্ডো সমর্থকরা সবচেয়ে বেশি আঘাত পেয়েছেন যে বিষয়ে তা হলো, ক্রিশ্চিয়ানোকে পরপর দুই ম্যাচে শুরুতে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা। সুইজারল্যান্ডের পর মরক্কো ম্যাচেও দেখা গিয়েছিলো একই ছবি। পর্তুগালের হারের পর কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোসকে নিজের ইনস্টাগ্রামে কটাক্ষ করেন রোনাল্ডোর বান্ধবী জর্জিনা রদ্রিগেজ।
ইনস্টাগ্রামে জর্জিনা লেখেন, "তোমার (রোনাল্ডো) বন্ধু তথা কোচ ভুল সিদ্ধান্ত নিলেন। সেই বন্ধু যাঁর জন্য তুমি একসময় প্রশংসায় ভরিয়ে দিতে, শ্রদ্ধার কথা বলতে। সেই একই ব্যক্তি, যে এদিন দেখল তুমি মাঠে নামার পরে সবকিছু কীরকম বদলে গেল, তবে তখন বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছে। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়, যে আপনার সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র, আপনি তাঁকে অবমূল্যায়ন করতে পারবেন না। জীবন আমাদের শিক্ষা দেয়। আজ আমরা হারিনি, আমরা শিখেছি। ক্রিশ্চিয়ানো, আমরা তোমার প্রশংসা করে যাব।"
ম্যাচ হারের পর রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশে সুযোগ না দেওয়ার বিষয়ে ফার্নান্দো স্যান্টোসকে প্রশ্ন করা হলে স্যান্টোস জানান, "আমার কোনো অনুশোচনা নেই।" স্যান্টোস বলেন, "এটি এমন একটি দল ছিল যারা সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে খুব ভালো খেলেছে। ক্রিশ্চিয়ানো একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড়, তখনই সে এসেছিল যখন আমরা তার প্রয়োজন মনে করেছি।"
মরক্কোর বিপক্ষে এদিন ১৯৬ তম আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন সিআর সেভেন। যা রেকর্ড। পর্তুগালের জার্সিতে পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে পাঁচটি আলাদা আলাদা বিশ্বকাপে গোলের রেকর্ডও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন